শরীয়তপুরে কলেজছাত্রী ধর্ষণের ভিডিও অনলাইনে ভাইরাল হওয়ার বিষয়টিকে নিয়ে ধুম্রজাল সৃষ্টি হয়েছে। অনলাইনে অভিযোগকারীর দুই ধরনের বক্তব্যের ফলে প্রকৃত ঘটনা নিয়ে জনমনে সন্দেহের সৃষ্টি হয়েছে। প্রাথমিক মেডিক্যাল পরীক্ষায় ধর্ষণের আলামত না পাওয়ায় সন্দেহ আরো ঘনীভূত হয়।
বুধবার (১০ ডিসেম্বর) রাতে অভিযুক্ত মারুফ খানকে এজাহারভুক্ত করে আরো ১৪ জন অজ্ঞাতনামার বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেছেন ভিকটিম। ইতোমধ্যে চারজনকে আটক করে জেলা হাজতে পাঠিয়েছে পালং মডেল থানা পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- মাদারীপুর জেলার কালকিনি থানার ঠেঙ্গামাড়া এলাকার বিল্লাল হাওলাদারের ছেলে মারুফ হাওলাদার (১৮), শরীয়তপুর সদরের পূর্ব কাশাভোগ এলাকার দাদন বেপারীর ছেলে নাফিজ বেপারী (২২), মৃত মোস্তফা খানের ছেলে সাইফুল খান (২২) ও পশ্চিম পরাসর্দ্দি এলাকার খোরশেদ আলমের ছেলে সিফাদ ভূইয়া (২০)।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার রাতে ভাইরাল হওয়া প্রথম ভিডিওতে অভিযোগকারী জানান, ওই দিন বিকেলে পরীক্ষা শেষে বাড়ি ফেরার পথে সন্ধ্যার পরে শরীয়তপুর বন বিভাগের বাগানে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন তিনি। তার সাথে থাকা আরেক সহপাঠীকে আটকে রেখে মারধর করে আহত করে মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেন অভিযুক্ত বখাটেরা। পরে একই রাতে ভিকটিমের ভিন্নতর আরেকটি বক্তব্য অনলাইনে ভাইরাল হলে জনমনে ধোঁয়াশা তৈরি হয়।
ভুক্তভোগী ওই নারী বলেন, ‘যারা আমার সাথে এমন ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। আমার বন্ধুও জড়িত থাকলে, তারও বিচার দাবি করছি।’
শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের আরএমও ডাক্তার মিতু আক্তার জানান, ‘ভিকটিমের প্রাথমিক মেডিক্যাল পরীক্ষায় ধর্ষণের আলামত মেলেনি। তবে ডিএনএসহ আরো পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। চূড়ান্ত ফলাফল পাওয়া গেলে বিষয়টি পরিষ্কার হওয়া যাবে।’
পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ আলম বলেন, ‘বুধবার দিবাগত রাতে ওই নারী একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা নেয়া হয়েছে। আমরা সন্দেহভাজন চারজনকে গ্রেফতার করেছি। আজ তাদের আদালতে পাঠানো হবে। বাকি জড়িতদেরকে গ্রেফতারের অভিযান অব্যাহত আছে।’



