সিলেটের আলোচিত ভোলাগঞ্জ সাদাপাথরে ইতোমধ্যে ১৮ লাখ ঘনফুট পাথর প্রতিস্থাপনের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এছাড়া আরো ২ লাখ ঘনফুট পাথর প্রতিস্থাপনের কাজ চলমান রয়েছে। ২০ লাখ ঘনফুট পাথরের এ প্রতিস্থাপন কাজ সম্পন্ন হলে সাদা পাথরের স্বচ্ছ নীল জলরাশির মাঝে এক অপরূপ সৌন্দর্যের চোখ জোড়ানো দৃশ্যের দেখা পাবে পর্যটকরা। এদিকে লুট হওয়া পাথরের মধ্যে ফিরে আসা আরো ৬ লাখ ঘনফুট পাথর ডাম্পিং স্টেশনে রক্ষিত আছে বলে জানা গেছে।
শনিবার (৩০ আগস্ট) এসব তথ্য নিশ্চিত করেন জেলা প্রশাসন ও স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন।
তারা জানান, হাজার খানেক শ্রমিক ও নৌকা প্রতিস্থাপন কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন। এদিকে ডাম্পিং স্টেশনে রাখা বাকি ৬ লাখ ঘনফুট পাথর কয়েক দিনের মধ্যে পুনঃস্থাপনের কাজ শেষ হবে।
জানা যায়, সাম্প্রতিক সময়ে দেশের সবচেয়ে আলোচিত ও জনপ্রিয় সাদাপাথর লুট হওয়া নিয়ে সারাদেশে হৈ চৈ পড়ে যায়। ভোলাগঞ্জের সাদাপাথর, সংরক্ষিত রেলওয়ের বাঙ্কার এলাকা ও আশপাশের শারপিন টিলা থেকে কয়েক বছরে কয়েক হাজার কোটি টাকার পাথর লুটপাট করা হয়। তবে জেলা প্রশাসন সাদাপাথর লুট নিয়ে বর্তমানে কাজ করছেন।
এদিকে সাদাপাথর লুটপাটের ঘটনা কেন্দ্র করে সিলেটের জেলা প্রশাসককে প্রত্যাহার করা হয়।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসন একটা তদন্ত কমিটি জমা দিলেও এর বিস্তারিত জনসমক্ষে এখনো প্রকাশ করা হয়নি। এছাড়া মন্ত্রী পরিষদ বিভাগের একটা তদন্ত কমিটিও কাজ করছে। একইসাথে বিজিবির সদর দফতরের একটা তদন্ত টিমও কাজ করছে বলে জানা গেছে।
ইতোমধ্যে দুদক টিম এ বিষয়ে ৪২ জনের একটা তালিকা প্রকাশ করলেও ওই তালিকা নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে মতপার্থক্য দেখা দিয়েছে। বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপি দুদককে অভিযোগের প্রমাণ হাজির করতে বারবারই চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আসছে।
ছবিগুলো শনিবার বিকেলে সাদাপাথর এলাকা থেকে তোলা