লালমনিরহাটের সদর উপজেলার গোসলা বাজার এলাকায় মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা:) ও ইসলাম নিয়ে অবমাননার অভিযোগে থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন স্থানীয় জনগণ। পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণের বাইরে গেলে সেনাবাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনে। এসময় শ্রী পরেশ চন্দ্রশীল(৭৫) বিষ্ণু চন্দ্রশীল(৩৫) নামে দুজনকে আটক করা হয়।
রোববার (২২ জুন) অভিযুক্তদের আটক করে থানায় আনে পুলিশ।
এর আগে শুক্রবার (২০ জুন) সদর উপজেলার গোসলা বাজারের স্থানীয় সেলুনের দোকানদার নাজমুল ইসলাম নামে এক গ্রাহক চুল দাড়ি কাটাতে গেলে শ্রী পরেশ চন্দ্রশীল(৭৫) বিষ্ণু চন্দ্রশীল(৩৫) হজরত মুহাম্মদ (সা:) হযরত আয়েশা (রাঃ) হজরে আসওয়াদ পাথর সম্পকে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেন।
স্থানীয়রা জানান, শ্রী পরেশ চন্দ্রশীল(৭৫) বিষ্ণু চন্দ্রশীল(৩৫) এরা বাপ ছেলে মিলে প্রায়ই নবীজিকে নিয়ে আজেবাজে মন্তব্য করেন। তারা বলেন, ‘হজরত মুহাম্মদ(সা:) ১১টি বিয়ে করেছে ছয় বছরের শিশু আয়শাকে বিয়ে করে যৌন নির্যাতন চালিয়েছেন।’ তারা আরো বলেন, ‘শিবলিঙ্গ ধোয়া পানি দিয়ে কাবা শরীফ ধ্বংস হবে।’ এলাকার এক ব্যক্তি চুল কাটতে গেলে তাকে এসব কথা বললে, ‘সে পাশের মসজিদে গিয়ে মুসল্লিদের এসব কথা বললে সাথে সাথে পরিস্থিতি খারাপ হতে থাকে। পরে স্থানীয়রা তাদের আটক করে থানা পুলিশের হাতে সোপর্দ করেন। সদর থানায় নেয়ার পরে স্থানীয় মুসল্লিরা সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে থানা ঘেরাও করে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। এতে উত্তাল হয়ে পড়ে সদর থানা।
এ ঘটনায় সদর থানা অফিসার ইনচার্জ(ওসি) নূরনবী জানান, পৌর এলাকার গোসালা বাজার হানিফ পাগলা মোড়ে সেলুন ব্যবসায়ী বাবা-ছেলে নবীজিকে নিয়ে কটুক্তি করায় স্থানীয় জনগণ তাদের আটক করে থানায় সোপর্দ করেন। তাদের বিরুদ্ধে ধর্ম অবমাননা, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ধ্বংস এবং শ্রেণীবিদ্বেষের মামলা প্রক্রিয়াধীন।