মিরসরাইয়ে গরমে দিশেহারা শ্রমজীবী মানুষ

রোদের কারণে সবজির গাছ শুকিয়ে যাচ্ছে। পানি দিচ্ছি, কিন্তু কাজ হচ্ছে না। সবজি নষ্ট হলে তো চাষের টাকা উঠে আসবে না।

এম মাঈন উদ্দিন, মিরসরাই (চট্টগ্রাম)

Location :

Mirsharai
মিরসরাইয়ে তীব্র গরমে জনজীবন দুর্বিষহ
মিরসরাইয়ে তীব্র গরমে জনজীবন দুর্বিষহ |নয়া দিগন্ত

টানা তাপপ্রবাহে চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে নাকাল হয়ে পড়ছে শ্রমজীবী মানুষদের কর্মজীবন। দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা যেন বেড়েই চলছে। অল্পতেই হাঁপিয়ে উঠছে খেটে খাওয়া মানুষগুলো। সবচেয়ে বেশি বিপাকে নিম্ন আয়ের শ্রমজীবী ও কৃষকরা।

রোববার (১১ মে) দুপুর ১২টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তীব্র গরম ও আর্দ্রতায় জনজীবন হয়ে উঠেছে দুর্বিষহ। তাপমাত্রা আরো বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে দেখা যায়, তীব্র গরমে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে খেটে খাওয়া মানুষের জনজীবন। কেউ কেউ গরমের তাপ প্রবাহ সইতে না পেরে বাড়িতে চলে যাচ্ছে। আবার কেউ কেউ বাইরে আগুনে পোড়া গরমে জীবন দুর্বিষহ হয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছে। যেখানে-সেখানে ছায়ায় বিশ্রাম নিচ্ছে, রিকশাচালকরা মাথার ওপরে ছাতা দিয়ে উপার্জন করে কোনোরকুম পরিবার নিয়ে সংসার চালাচ্ছে।

উপজেলার মিঠাছরা বাজারের শেখ সাব নামের এক রিকশাচালক বলেন, ‘সকাল থেকে রোদের তেজে গায়ের চামড়া পুড়ে যাচ্ছে। কিন্তু কাজ না করলে তো পেট চলবে না। ঘামে ভিজে আবার ঠান্ডা লেগে যাচ্ছে।’

সাইফুল্লাহ নামের এক কৃষক বলেন, ‘টানা রোদের কারণে সবজির গাছ শুকিয়ে যাচ্ছে। পানি দিচ্ছি, কিন্তু কাজ হচ্ছে না। সবজি নষ্ট হলে তো চাষের টাকা উঠে আসবে না।’

আবহাওয়া অফিসের মিরসরাই-সীতাকুণ্ড দায়িত্বরত আবহাওয়াবিদ মো: ইমরান জানান, বেশ কয়েকদিন মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ চলতেছে, যা আরো আরো বাড়তে পারে। আগামী সাপ্তাহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে আপাদত ঘূর্ণিঝড়ের কোনো আশঙ্কা নেই।