পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালীতে রাতের আঁধারে সমন্বয়কসহ তিনজনের ওপর সন্ত্রাসী হামলা চালিয়েছে সেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীরা।
শুক্রবার (১৩ জুন) রাত পৌনে ৯টার দিকে উপজেলার মৌডুবী বাজারের উত্তর পাশে সেতুর ওপর এ হামলা করা হয়।
হামলায় গুরুতর আহত মো: সামীর (২৩) স্থানীয় আবু জাফর মাঝির ছেলে। তিনি জুলাই আন্দোলনে নারায়ণগঞ্জ জেলার সহ-সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়া তিনি সরকারি তোলারাম কলেজ শাখা ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি বলে জানা গেছে।
আহত অপর দু’জন হলেন- স্থানীয় আনসার সরদারের ছেলে মোহন (২৭) ও নাসির গাজীর ছেলে রাশেদ (৩৫)।
এদিকে হামলায় নেতৃত্বদানকারী জাকারিয়া (৩০) স্থানীয় জব্বার মোল্লার ছেলে বলে জানা গেছে। তিনি উপজেলার মৌডুবী ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক। এছাড়া জব্বার মোল্লার অপর এক ছেলে নেয়ামত উল্লাহ (১৯), মাহমুদ হাওলাদারের ছেলে আবির (২০), শওকত মোল্লার ছেলে সাকিবসহ (১৯) ১০ থেকে ১২ জন এ হামলায় জড়িত বলে জানা গেছে।
জানা যায়, ভুক্তভোগী সামীরসহ তিনজন বাজার থেকে বাড়িতে ফেরার পথে অভিযুক্ত জাকারিয়া, নেয়ামত উল্লাহ, আবির, সাকিবসহ ১০ থেকে ১২ জন তাদের ওপর অতর্কিত হামলা করে। এ সময় তারা উপর্যুপরি কিল, ঘুষি ও লাথি মারতে থাকে তাদের।
বেধড়ক মারধরে সামীরের মাথা ফেটে যায় ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে ক্ষত হয়। একইসাথে মোহনের শরীরের একাধিক জায়গা ফেটে রক্ত বের হয়ে। এ সময় ছাড়াতে গেলে রাশেদকেও বেধড়ক মারধর করেন তারা।
পরে আহতদের মৌডুবী বাজারে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। এছাড়া উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদের জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হবে বলে জানা গেছে।
আহত সামীর জানান, ‘আমরা কিছু বুঝে ওঠার আগেই তারা অতর্কিত হামলা করে। আমরা এর বিচার চাই।’
হামলায় নেতৃত্বদানকারী স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা জাকারিয়া বলেন, ‘কয়েক বছর আগে সামীরের ভাই আমাকে অপমান করেছে। তার কোনো সমাধান হয়নি।’
এ বিষয়ে রাঙ্গাবালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: এমারত হোসেন বলেন, হামলার ঘটনা শুনেছি। এখন পর্যন্ত লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এদিকে হামলার ঘটনায় উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় ছাত্র-জনতা। ঘটনায় সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানিয়েছেন তারা।