ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির ঘোষিত প্যানেলের নিরঙ্কুশ জয়ে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নেতৃবৃন্দ।
কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমির মো: নূরুল ইসলাম বুলবুল এবং কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ যৌথ অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা বার্তা বলেন, বায়ান্নোর ভাষা আন্দোলন, ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান, একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধ, নব্বইয়ের স্বৈরাচার এরশাদ বিরোধী আন্দোলন, চব্বিশের জুলাই বিপ্লবসহ বাংলাদেশের প্রতিটি গণতান্ত্রিক আন্দোলন-সংগ্রামে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ভূমিকা ও অবদান অনস্বীকার্য। দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ৫ আগস্ট পরবর্তী রাজনৈতিক দল এবং ছাত্র সংগঠনের কর্মকান্ড বিবেচনায় বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কর্মকান্ডকে সুশৃঙ্খল, গণতান্ত্রিক, আদর্শিক ও নৈতিক হিসেবে চিহ্নিত করেছে। যার বহিঃপ্রকাশ ডাকসু নির্বাচনের ফলাফল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ইসলামী ছাত্রশিবিরের প্যানেলকে বিজয় করে মূলত জাতিকে বার্তা দিয়েছে, এদেশে সন্ত্রাস-চাঁদাবাজ, দুর্নীতি, লুটপাট, ধর্ষক, খুনি ও নৈরাজ্যকারীদের স্থান নেই। সৎ, যোগ্য, আল্লাহভীরু, ন্যায়পরায়ন, দুর্নীতি-সন্ত্রাস-চাঁদাবাজমুক্ত নেতৃত্ব জাতির জন্য কল্যাণকর। তাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সৎ, যোগ্য, আল্লাহভীরু, ন্যায়পরায়ন, দুর্নীতি-সন্ত্রাস-চাঁদাবাজমুক্ত ইসলামী ছাত্রশিবিরের কাছে ডাকসুর নেতৃত্ব তুলে দিয়েছে। তবে ষড়যন্ত্রকারীরা থেমে থাকেনি। তারা শিক্ষার্থীদের ভোটের ফলাফল ভিন্নখাতে রূপ দিতে দেশ-বিদেশ থেকে নানা রকম ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত করেছে। শিক্ষার্থীরা নিজেদের ভোটের ফলাফল বুঝে নিতে গভীর রাত পর্যন্ত পাহাদারিত্বের ভূমিকা রেখেছে। অবশেষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীদের ভোটের সঠিক ফলাফল ঘোষণা করে। ঘোষিত ফলাফলে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের প্যানেল ২৮ পদের মধ্যে ভিপি-জিএস-এজিএস সহ মোট ২৩টিতে নিরঙ্কুশ বিজয় লাভ করে।
ইসলামী ছাত্রশিবির ঘোষিত ‘ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট’ থেকে ভিপি পদে বিপুল ভোটে নির্বাচত হয় জুলাই বিপ্লবের নেতৃত্বদানকারী আপোষহীন তরুণ ছাত্রনেতা ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবু সাদিক কায়েম। জিএস পদে নির্বাচিত হন সংগঠনের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা সভাপতি এস এম ফরহাদ এবং এজিএস পদে নির্বাচিত হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা সেক্রেটারি মো: মহিউদ্দিন খান।
এছাড়াও ইসলামী ছাত্রশিবির ঘোষিত প্যানেলে বিজয়ী অন্যারা হচ্ছেন- মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন সম্পাদক ফাতেমা তাসনিম জুমা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক ইকবাল হায়দার, কমন রুম, রিডিং রুম ও ক্যাফেটেরিয়া সম্পাদক উম্মে সালমা, আন্তর্জাতিক সম্পাদক জসিম উদ্দীন খান, ক্রীড়া সম্পাদক আরমান হোসেন, ছাত্র পরিবহন সম্পাদক আসিফ আব্দুল্লাহ, ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্ট সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম, স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সম্পাদক এস এম আল মিনহাজ, মানবাধিকার ও আইন সম্পাদক মো: জাকারিয়া।
নির্বাহী সদস্য যথাক্রমে- সাকিবুন্নাহার তামান্না, সর্ব মিত্র চাকমা, আফসানা আক্তার, রায়হান উদ্দিন, তাজীনুর রহমান, ইমরান হোসাইন, মিফতাহুল হোসাইন আল মারুফ, মো: রাইসুল ইসলাম, শাহিনুর রহমান, আনাস ইবনে মুনির, মো: বিল্লাল হোসেন অপু।
নেতৃবৃন্দ দেশের অন্য ছাত্র সংসদ নির্বাচনে শিক্ষার্থীদেরকে ডাকসু নির্বাচনকে অনুসরণ করতে আহ্বান জানিয়ে বলেন, বাংলাদেশের আগামীর নেতৃত্ব ছাত্র সমাজ থেকে বেরিয়ে আসবে। তাই নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে ডাকুস’র ন্যায় সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ নির্বাচনে ইসলামি ছাত্রশিবিরের পক্ষে রায় দিতে শিক্ষার্থীদের প্রতি নেতৃবৃন্দ আহ্বান জানান।