চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার প্রবাসী হারুন হত্যা মামলার প্রধান আসামি ও নিহতের ভাগিনা শাহিন আলমকে (৩০) গ্রেফতার করেছে র্যাব-৭ চট্টগ্রাম।
শনিবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে নওগাঁ জেলার পত্নীতলা থানার মহেশপুর কদমকুড়ি এলাকায় র্যাব-৭ ও র্যাব-৫ এর যৌথ অভিযানে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
আজ রোববার র্যাবের গণমাধ্যম শাখার সহকারী পুলিশ সুপার এ আর এম মোজাফফর হোসেন এ বিষয়ে বলেন, প্রবাসী হারুন হত্যা মামলার পর থেকেই শাহিন আত্মগোপনে ছিলেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শাহিনের অবস্থান শনাক্ত করে অভিযান চালানো হয়। পরবর্তীকালে গ্রেফতার আসামিকে মিরসরাই থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, নিহত মো: হারুন গত ৩০ এপ্রিল তিন মাসের ছুটিতে বিদেশ থেকে দেশে ফেরেন। দীর্ঘদিন ধরে পারিবারিক ও পৈতৃক সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ চলছিল তার পরিবারের মধ্যে। গত ৯ জুলাই বিকেলে বোনের ঘরের পানি তার উঠানে পড়া নিয়ে ভাগ্নে শাহিন আলমের সাথে বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে শাহিন ও তার সহযোগীরা দেশীয় ধারালো অস্ত্র ও লোহার রড দিয়ে হারুনকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর জখম করে পালিয়ে যান। পরে স্থানীয়রা আহত হারুনকে উদ্ধার করে মিরসরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার পর নিহতের স্ত্রী মিরসরাই থানায় ৩ জনের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা করেন।
মিরসরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতিকুর রহমান বলেন, র্যাবের সহযোগিতায় হত্যা মামলার প্রধান আসামি শাহিন আলমকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মামলার অন্যান্য পলাতক আসামিদেরও গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
র্যাব-৭ এর পক্ষ থেকে এ আর এম মোজাফফর হোসেন আরো বলেন, চাঞ্চল্যকর এই হত্যাকাণ্ডের পর শাহিন আত্মগোপনে ছিলেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়েছে। আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে তাকে মিরসরাই থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
নিহত হারুনের চাচাতো ভাই মো: আনোয়ার হোসেন বলেন, শাহিনের গ্রেফতারে এলাকায় স্বস্তি ফিরেছে। আমরা তার সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করছি। বাকি আসামিদেরও গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি।