বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র শিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম বলেছেন, ‘বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যার মধ্য দিয়ে এটা প্রমাণ হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার পাশাপাশি সন্ত্রাসের চর্চা হতো। আবাসিক হলে সারারাত নির্যাতন হচ্ছে জেনেও কোনো শিক্ষকও আবরার ফাহাদকে বাঁচাতে আসেনি। আবরার ফাহাদের আজ ৬ষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী। আল্লাহ যেনো তাকে জান্নাতুল ফেরদৌস নসীব করেন।’
মঙ্গলবার ৭ (অক্টোবর) সকালে কুমিল্লার আইটি কনভেনশন হলে কুমিল্লা মহানগর শিবিরের আয়োজনে ক্যারিয়ার গাইডলাইন ও সিরাত পাঠ প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ আধিপত্য শক্তির বিরুদ্ধে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয়ায় তাকে গভীর রাতে পিটিয়ে হত্যা করে ছাত্রলীগের কর্মীরা। তাকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যার পর বুয়েট ছাত্রলীগ সেক্রেটারি পুলিশকে খবর দিয়েছিল শিবিরকর্মী বলে। পরে পুলিশকে ঢুকতে না দিয়ে ছাত্রলীগ আবরার ফাহাদের লাশ গুম করতে চেয়েছিল। মাদক দিয়ে তাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করেছিলো সেইদিন। আবরার ফাহাদ আমাদের কাছে এখন নিপীড়ন বিরোধী প্রতীক হয়ে আছে।’
ছাত্রদের ক্যারিয়ার গঠনে তিনি বলেন, ‘তিনটি বিষয়ে তোমাদেরকে বেশি খেয়াল রাখতে হবে। প্রথমত সময়ের যথাযথ ব্যবহার, কঠোর পরিশ্রম, সর্বোপরি আল্লাহর সাহায্য কামনা করা। তাহলেই একটি সুন্দর ক্যারিয়ার গঠন সম্ভব হবে। ছাত্র শিবিরের কাজ হচ্ছে গাইড লাইন দেয়া। এইচএসসির পর আমাদের বিভিন্ন কোচিং সেন্টারের মাধ্যমে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে চান্স পাওয়ার উপযোগী করে শিক্ষার্থীকে গড়ে তোলা হয়। এছাড়াও রয়েছে শিবিরের উদ্যোগে বিভিন্ন প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা। ছাত্র শিবির প্রতিষ্ঠার পর থেকে ছাত্রদের কল্যাণে নানামুখী কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে।’
শিবির কুমিল্লা মহানগর সভাপতি হাছান আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ইবনে তাইমিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মু. শফিকুল আলম হেলাল।
বক্তব্য রাখেন কুমিল্লা মহানগর শিবির সেক্রেটারি নাজমুল হাসান পঞ্চায়েত,অফিস সম্পাদক ডা: আবদুল্লাহ খান, ছাত্র অধিকার সম্পাদক ও ভিক্টোরিয়া কলেজ সভাপতি মনির হোসেন প্রমুখ।
ক্যারিয়ার গাইডলাইন প্রোগ্রামে এইচএসসি একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণিতে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিল। পরে সিরাত পাঠ প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ করা হয়।