মাসুদ করিম, ভেড়ামারা (কুষ্টিয়া)
কুষ্টিয়ার ভেড়ামারার ঘোড়েশাহ্ বাবার মাজারে গাঁজাসেবীদের আখড়ায় অভিযানে গিয়ে লাঞ্চিত হয়েছেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও ১ম শ্রেনীর ম্যাজিস্ট্রেট আনোয়ার হোসাইন।
রোববার (২০ এপ্রিল) দুপুর ২টার দিকে ভেড়ামারার কাঠেরপুল বিত্তিপাড়া এলাকায় অবস্থিত মাজারে অভিযানে গিয়ে তিনি লাঞ্চিত হন। এ ঘটনায় মাজার এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
প্রশাসনিক সূত্র নিশ্চিত করেছে, ভেড়ামারার সোলাইমান শাহর মাজার এবং ঘোড়েশাহ্ বাবার মাজারে দীর্ঘদিন ধরেই মাদকের হাট বসে। গাঁজাসেবীদের আখড়ায় পরিণত হয় পুরো মাজার এলাকা। এবছর প্রশাসন সিদ্ধান্ত নেয় দু’টি মাজারেই মাদক নিয়ন্ত্রণ এবং গাঁজার আখড়া উচ্ছেদ করা হবে।
চলতি মাসের প্রথম দিকে গোলাপনগরে অবস্থিত সোলাইমান শাহ’র মাজারে মাদক ও গাজার আখড়া নিয়ন্ত্রণ হলেও ঘোড়েশাহ্ বাবার মাজারে বসে মাদক ও গাঁজার আখড়া।
গত ১৮ এপ্রিল থেকে শুরু হয়েছে ঘোড়ে শাহ বাবার মাজার। পুরো বৈশাখ মাস জুড়ে চলবে। সপ্তাহে দুইদিন শুক্র ও সোমবার বসে এ আখড়া। মাজার শুরুর আগেই গাঁজার আখড়া না বসাতে প্রশাসন নির্দেশ দিয়েছিল। তবুও প্রশাসনের সেই নির্দেশকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে মাজারে মাদক কারবারি ও গাঁজা সেবীরা মাজারের পবিত্রতা নষ্ট করে পুরো মাজার এলাকা গাঁজার আখড়ায় পরিণত করে। এমন সংবাদ পেয়েই গতকাল সোমবার দুপুর ২টার দিকে সঙ্গীয় ফোর্সসহ অভিযানে যান ভেড়ামারা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আনোয়ার হোসাইন।
তারা অভিযান শুরু করতে গেলে সেখানে বাধা দেন মাজারে উপস্থিত মাদক কারবারি এবং লাল পোশাক পড়া বিশেষ একটি গোষ্ঠী। এসময় তারা ১ম শ্রেনীর ম্যাজিস্ট্রেট আনোয়ার হোসাইন ও অভিযানে থাকা টিমের সদস্যদের লাঞ্ছিত করেন। পরে তোপের মুখে পড়ে নিজেদের রক্ষা করেই ফিরে আসেন কর্মকর্তারা।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ভেড়ামারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘মাদকবিরোধী অভিযানে গিয়ে বাধার মুখে পড়েন এসিল্যান্ডসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। বিষয়টি নিয়ে মাজার এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।’
এর আগেও মাজারে গাঁজার আখড়া উচ্ছেদ বা গাঁজা খাওয়া বন্ধ করলে মাদক কারবারি, মাদক সেবনকারিরা রাস্তায় মিছিল বের করে ভেড়ামারা থানা ঘেরাও কর্মসূচি পালন করেছিল।