মুন্সীগঞ্জে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ আরো এক যুবকের মৃত্যু

মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার মোল্লাকান্দি ইউনিয়নের চরডুমুরিয়া এলাকায় বিএনপি সমর্থিত দুই গ্রুপের আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ আরও এক যুবক মঙ্গলবার মারা গেছেন।

আব্দুস সালাম, মুন্সীগঞ্জ

Location :

Munshiganj
মুন্সীগঞ্জে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ আরো এক যুবকের মৃত্যু
মুন্সীগঞ্জে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ আরো এক যুবকের মৃত্যু |নয়া দিগন্ত

মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার মোল্লাকান্দি ইউনিয়নের চরডুমুরিয়া এলাকায় বিএনপি সমর্থিত দুই গ্রুপের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ আরও এক যুবক নিহত হয়েছেন।

মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

নিহত রায়হান খান(২২) স্থানীয় খানবাড়ির রুস্তম খানের ছেলে এবং পেশায় অটো চালক।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গত সোমবার সকালে রায়হান যখন অটো নিয়ে বাড়ি থেকে বের হচ্ছিলেন, তখন তিনি দুই গ্রুপের গোলাগুলির মধ্যে পড়েন এবং গুলিবিদ্ধ হন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় রায়হানকে বাঁচানোর চেষ্টা করা হলেও, তার জীবন রক্ষা করা সম্ভব হয়নি।

এর আগেও, একই সংঘর্ষে আরো একজন নিহত হন, আরিফ মীর (৩৫), এবং দু’জন আহত হন। আহতদের মধ্যে ইমরান (২৮) গুরুতর আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে বিরোধ চলছিল। আতিক মল্লিক ও ওহিদ মোল্লা গ্রুপের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে যে তারা এলাকার আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে একাধিকবার সংঘর্ষে জড়িয়েছে। এসব গ্রুপের মধ্যে মূল বিরোধ ছিল ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সহ সভাপতি আওলাদ হোসেন ও আরিফ মীরের সাথে।

এ বিষয়ে মুন্সীগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এম সাইফুল আলম জানিয়েছেন, ‘ঘটনার পর পুলিশ তদন্তে নেমেছে। এখনো পর্যন্ত কেউ এ বিষয়ে অভিযোগ দাখিল করেনি, তবে আমরা সন্দেহভাজন দুইজনকে আটক করেছি এবং তাদের মুন্সীগঞ্জ আদালতে পাঠানো হয়েছে।’

এ ঘটনায় স্থানীয় এলাকাবাসী এবং বিএনপির নেতাদের মধ্যে ক্ষোভ ও উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে। তারা দ্রুত পরিস্থিতি শান্ত করার জন্য সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

এমন সহিংসতার ঘটনায় সাধারণ জনগণের মধ্যে নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ বৃদ্ধি পেয়েছে।

স্থানীয়দের মতে, এই ধরনের সংঘর্ষ শুধুমাত্র দলের মধ্যকার ক্ষমতার লড়াইয়ের ফল, যা এলাকার শান্তি ও জনজীবনে ব্যাপক প্রভাব ফেলছে।

এলাকাবাসী মনে করছেন, যদি এভাবে বিরোধ চলতে থাকে, তবে ভবিষ্যতে আরো হতাহতের ঘটনা ঘটতে পারে।