ভারী বৃষ্টিপাত ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) বিকেল ৩টা থেকে তিস্তা নদীর পানি নীলফামারীর ডালিয়া তিস্তা ব্যারেজ পয়েন্টে বিপৎসীমার ১৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে করে তিস্তা নদীঘেঁষা গ্রামগুলোর প্রায় ২০ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে।
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের পানি পরিমাপক নূরুল ইসলাম জানান, তিস্তা নদীর পানি ডালিয়া তিস্তা ব্যারেজ পয়েন্টে বৃহস্পতিবার সকাল ৬টায় ৫২ দশমিক ২৬ সেন্টিমিটার এবং বিকেল ৩টা থেকে ৫২ দশমিক ৩০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়েছে। এই পয়েন্টে বিপৎসীমা ৫২ দশমিক ১৫ সেন্টিমিটার। এদিকে পানির গতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে তিস্তা ব্যারেজের ৪৪টি কপাট খুলে দেয়া হয়েছে।
তিস্তার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার পূর্বছাতনাই, টেপাখড়িবাড়ী, খগাখড়িবাড়ী, খালিশা চাপানি, ঝুনাগাছ চাপানি, জলঢাকা উপজেলার শৌলমারী ও ডাউয়াবাড়ী ইউনিয়নের ১৫টি চরগ্রামসহ নিম্নাঞ্চলের প্রায় ২০ হাজার মানুষের ঘর-বাড়িতে পানি উঠেছে। বানের পানিতে এসব এলাকায় তলিয়ে গেছে রোপা আমনসহ উঠতি ফসলের ক্ষেত।
জেলা ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মো: মনোয়ারুল ইসলাম জানান, ভারী বৃষ্টিপাত ও উজানের ঢলে ডিমলা উপজেলায় পাঁচ হাজার ২০০টি পরিবার পানিবন্দী হয়ে রয়েছে। তারা উঁচু জায়গায় আশ্রয় নিয়েছেন। পানিবন্দীদের জন্য ২০ টন চাল, শুকনো খাবার, বস্ত্রসহ প্রয়োজনীয় ঔষধ উপজেলা ত্রাণ অফিসে পাঠানো হয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড নীলফামারীর ডালিয়া বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী অমিতাভ চৌধুরী জানান, ভারী বৃষ্টিপাত ও উজানের ঢলে তিস্তার পানি বিপৎসীমার ১৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় ব্যারেজের সবগুলো কপাট খুলে দেয়া হয়েছে।