ইনচার্জের বিরুদ্ধে অভিযোগ

সৈয়দপুর রেলওয়ে গুদাম থেকে রেললাইনের পাত পাচার

বৃহস্পতিবার ভোরে এই ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ উঠেছে

সৈয়দপুর (নীলফামারী) সংবাদদাতা

Location :

Nilphamari
রেললাইনের পাত
রেললাইনের পাত |নয়া দিগন্ত

দেশের সর্ববৃহৎ রেলওয়ে কারখানা সৈয়দপুরের পিডাব্লিউ (উর্ধ্বতন উপ-সহকারী প্রকৌশলী, পথ) কার্যালয়ের গুদাম থেকে দু’টি পিকআপ রেললাইনের পাত পাচারের ঘটনায় তীব্র সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার ভোরে এই ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ উঠেছে যে, ওই অফিসের ইনচার্জ সুলতান মৃধা গ্যাস দিয়ে রেললাইন কেটে টুকরো টুকরো করে বিক্রি করেছেন।

সংশ্লিষ্ট রেলওয়ে সূত্র জানিয়েছে, গুদামে বা অফিস চত্বরে গ্যাস দিয়ে রেললাইন কাটার কোনো নিয়ম নেই। বিশেষ প্রয়োজনে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের উপস্থিতিতে এবং ব্লেড দিয়ে কাটতে হয়। শুধুমাত্র রেল ট্র্যাকে (ট্রাফিক লাইন) সংস্কার কাজের সময় অনুমতি সাপেক্ষে গ্যাস ব্যবহার করা যাবে।

তথ্যদাতার অভিযোগ, এই নিয়ম উপেক্ষা করে রাতভর গ্যাস সিলিন্ডার নিয়ে এসে রেললাইন কাটা হয়েছে। স্থানীয় কয়েকজন বহিরাগত, অফিস স্টাফ ও ক্রেতার লোকজন এতে সহযোগিতা করেছে। বৃষ্টির সুযোগে রাতভর কাজ করে ভোরে পিকআপ লোড করে পাতগুলো পাচার করা হয়।

অভিযোগ পেয়ে সংবাদকর্মী ও রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর (আরএনবি) সদস্যরা সকালে ঘটনাস্থলে যান। তারা ইয়ার্ডে গ্যাস দিয়ে কাটার চিহ্ন এবং লোহার গুঁড়ো পান। ইনচার্জ সুলতান মৃধা গুদামের তালা খুলে দেখান যে, স্টোরেও লাইনগুলো গ্যাস দিয়ে কেটে টুকরো টুকরো করে রাখা হয়েছে। পাশে তিনটি গ্যাস সিলিন্ডার ও লাইন কাটার সরঞ্জামও ছিল।

ইনচার্জ দাবি করেন, কাজের সুবিধার্থে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে গ্যাস দিয়ে লাইন কাটা হয়েছে এবং লাইন পাচারের বিষয়টি সঠিক নয়। কিন্তু তিনি কোনো প্রমাণ দেখাতে পারেননি।

এ ব্যাপারে এই অফিসের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ পার্বতীপুর রেলওয়ের সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী তৌহিদুল ইসলাম মোবাইলফোনে বলেন, স্টোরে বা ইয়ার্ডে রেললাইন কাটার কোনো নিয়ম নাই। তাছাড়া গ্যাস ব্যবহার কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। একইভাবে গ্যাস সিলিন্ডার রাখাও বৈধ নয়। আমি এ বিষয়ে কিছু জানি না। সব দায়িত্ব ইনচার্জের।

সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার বিভাগীয় তত্ত্বাবধায়ক শাহ সুফি নুর মোহাম্মদ বলেন, পিডাব্লিউ-এর ওই ইনচার্জের বিরুদ্ধে এ ধরনের অনেক অভিযোগ পেয়েছি। কিন্তু তথ্য প্রমাণ না পাওয়ায় ব্যবস্থা নেয়া সম্ভব হচ্ছে না। আপনারা তাকে হাতেনাতে ধরিয়ে দেন। তাহলে বেশ উপকৃত হতাম। এমন লোকবল রেলওয়ের জন্য ক্ষতিকর।

রাজশাহীস্থ বাংলাদেশ রেলওয়ে পশ্চিমাঞ্চলের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী (ট্রাক) আহসান জাবির মোবাইলফোনে বলেন, তথ্য প্রমাণ থাকলে আপনারা নিউজ করেন। তাহলে আমরা তদন্ত সাপেক্ষে প্রমাণ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নিবো।