চট্টগ্রাম-৮ আসনে বিএনপির প্রার্থী ও নগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ উল্লাহর নির্বাচনী প্রচারণায় হামলার ঘটনায় সরোয়ার হোসেন ওরফে বাবলা হত্যা মামলায় দু’জনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। এছাড়া, চট্টগ্রামের চালিতাতলী ও রাউজানে সংঘটিত গোলাগুলির ঘটনায় আরো চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
শুক্রবার (৭ নভেম্বর) দুপুরে র্যাবের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়। এর আগে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে র্যাবের বিশেষ টিম অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে।
গত বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে বিএনপি প্রার্থী এরশাদ উল্লাহর গণসংযোগকালে সরোয়ার বাবলাকে গুলি করে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। এ সময় বিএনপির প্রার্থী এরশাদ উল্লাহসহ আরো একজন গুলিবিদ্ধ হন।
একই দিন রাত ৯টার দিকে জেলার রাউজানের বাগোয়ান এলাকায় গোলাগুলির ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হন অন্তত পাঁচজন। এরপর বৃহস্পতিবার নগরীর চালিতাতলীতে মাদক কারবারে বাধা দেয়াকে কেন্দ্র করে প্রতিবন্ধী অটোচালক ইদ্রিসকে গুলি করে দুর্বৃত্তরা। এসব ঘটনায় জড়িত সন্দেহে মোট ছয়জনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
এদিকে খুনের ঘটনায় আজ শুক্রবার সকালে ২৩ জনের বিরুদ্ধে সরোয়ার বাবলার বাবা আবদুল কাদের নগরীর বায়েজিদ বোস্তামী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। মামলার এজাহারভুক্ত আলাউদ্দিন ও হেলালকে চান্দগাঁও থানাধীন হাজিরপুল এলাকায় অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করেছে র্যাবের টিম।
মামলায় বিদেশে পলাতক দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী সাজ্জাদ আলী ওরফে বড় সাজ্জাদ এবং তার বাহিনীর কিলিং স্কোয়াডের প্রধান হিসেবে পরিচিত রায়হান আলমসহ সাতজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। অন্য আসামি হলেন বোরহান উদ্দিন, নেজাম উদ্দিন, আলাউদ্দিন, মোবারক হোসেন ওরফে ইমন ও হেলাল ওরফে মাছ হেলাল।
বায়েজিদ বোস্তামী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জসিম উদ্দিন জানান, মামলায় সাতজনের নাম উল্লেখ ছাড়াও অজ্ঞাত আরো ১৫ থেকে ১৬ জনকে আসামি করা হয়েছে।
র্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক মোজাফ্ফর হোসেন জানান, ৬ নভেম্বর মহানগরীর বায়েজিদ বোস্তামী এলাকায় রিকশাচালক মো: ইদ্রিস’কে গুলি করে আহত করা সন্ত্রাসী মো: আরমান আলী রাজকে বায়েজিদ বোস্তামী থানার রউফাবাদ আবাসিক এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।
তিনি জানান, ৫ নভেম্বর মধ্যরাতে চট্টগ্রাম জেলার রাউজানের কোয়েপাড়া এলাকায় প্রকাশ্যে গোলাগুলি ও রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় উপজেলা শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ সুমন, ইউনিয়ন কৃষক দলের সহ-সভাপতি মো: ইসমাইল, শ্রমিক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক খোরশেদ আলম চৌধুরী, যুবদলের সহ-সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেল ও বিএনপি কর্মী মোহাম্মদ সোহেল গুলিবিদ্ধ হয়।
এ ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে মাহমুদুল হক জ্যাকি (৩৫), ইসতিয়াক চৌধুরী অভি (৩৮) ও মো: জনিকে (৩৮) চকবাজার থানার সিরাজউদ্দৌলা রোডের ইঞ্জিনিয়ার শাহাজাহানের তিনতলা ভবন থেকে গ্রেফতার করা হয়। তারা বাবলা হত্যার ঘটনায়ও অন্যতম সন্দেহভাজন।
তাদের কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল ও ম্যাগাজিনসহ চার রাউন্ড তাজা গুলি উদ্ধার করা হয়। আসামিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলে জানান র্যাবের এই কর্মকর্তা। বাসস



