দিনাজপুরের খানসামায় প্রতিবেশী চাচার বিরুদ্ধে নয় বছর বয়সী ভাতিজিকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।
রোববার (৮ জুন) উপজেলার ভেড়ভেড়ি ইউনিয়নের টংগুয়ায় এ ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে। শিশুটি বর্তমানে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ ঘটনায় চারজনের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন শিশুটির মা।
লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, শিশুটির মা নিজেই খানসামা থানায় দায়েরকৃত অভিযোগে উল্লেখ করেন-তার মেয়ে (৯), স্থানীয় টংগুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী। ঘটনার দিন ৮ জুন বিকেল ৪টার দিকে সে খেলার একপর্যায়ে প্রতিবেশীর ঘরে পানি খেতে যায়। সাথে ছিল তার চাচার মেয়ে (৮)।
অভিযোগে বলা হয়, প্রধান অভিযুক্ত নূরন্নবী ইসলাম (২১) মুখ চেপে ধরে শিশুটিকে জোরপূর্বক তার শয়নঘরে নিয়ে যায়। এরপর দরজা বন্ধ করে তাকে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের ফলে শিশুটি অজ্ঞান হয়ে পড়লে অভিযুক্ত যুবক পালিয়ে যান।
পরবর্তী সময়ে অভিযুক্তের পরিবারের সদস্যরা (তার বাবা-মা ও ভাই) অজ্ঞান শিশুটিকে বাইরে ফেলে রাখে। পরে বিষয়টি শিশুটির মাকে জানালে তিনি দ্রুত সেখানে গিয়ে মেয়েকে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করেন। মায়ের চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে আসেন। এরপর স্থানীয়দের সহায়তায় শিশুটিকে মোটরসাইকেলে করে তড়িঘড়ি করে নেয়া হয় নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় প্রায় ১৫ ঘণ্টা পর শিশুটি জ্ঞান ফিরে পায়। জ্ঞান ফিরে পেয়ে সে মায়ের কাছে ঘটনার বর্ণনা দেয়।
শিশুটির পরিবার আইনিব্যবস্থার আশায় খানসামা থানায় চারজনকে আসামি করে অভিযোগ দায়ের করে। অভিযুক্তরা হলেন নূরন্নবী ইসলাম (২১), তার ভাই জুয়েল ইসলাম (২৫), বাবা শফিকুল ইসলাম (৫৫), এবং মা লাকী বেগম (৪০)। এদের সবাই একই এলাকার বাসিন্দা। অভিযুক্তরা মূলত শিশুটির প্রতিবেশী হওয়ায় বিষয়টি আরোবেদনাদায়ক হয়ে উঠেছে।
অভিযোগকারী অভিযোগ করেন যে, আসামিরা আগে থেকেই তার মেয়ে ও পরিবারের সদস্যদের সাথে আচরণে অশোভনতা ও হয়রানি করত।
শিশুটির মা বলেন, ‘তার মেয়ে এখনো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে এবং তার সুস্থতার জন্য প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।’
তিনি আরো জানান, ‘আমার মেয়ে দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী। কিভাবে ওরা তাকে শেষ করে দিলো! আমরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।’
এ বিষয়ে খানসামা থানার অফিসার ইনচার্জ নজমুল হক বলেন, ‘এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। শিশুটি বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। মামলা প্রক্রিয়াধীন। খুব দ্রুত সময়ে প্রয়োজনীয় আইনিব্যবস্থা নেয়া হবে।’