বখাটেদের ইভটিজিং বন্ধ, সহপাঠীদের শ্লীলতাহানীর চেষ্টা, মাদকসেবী বখাটে ও সন্ত্রাসী শাকিল গংদের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে বরিশালের মুলাদী উপজেলার গাছুয়া ইউনিয়নে ইসলামাবাদ নেছারিয়া ফাজিল মাদরাসার শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (৪ আগস্ট) দুপুর ১২টার দিকে মাদরাসা প্রাঙ্গণে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে মাদরাসার শিক্ষক-শিক্ষিকা, শিক্ষার্থী, গভর্ণিং বডির সদস্য ও এলাকাবাসী উপস্থিত ছিলেন।
মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা জানায়, সম্প্রতি শ্রীমতি, সৈয়দেরগাঁও ও চরগাছুয়া গ্রামে মেয়ে শিক্ষার্থীদের ইভটিজিংয়ের মাধ্যমে উৎপাত করে। মাদরাসা ও স্কুল পড়ুয়া মেয়ে শিক্ষার্থীরা আসা যাওয়ার পথে বখাটেদের উৎপাত থেকে রক্ষা পেতে এ মানববন্ধন। কিছু বখাটে যুবক বিভিন্ন সময় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ছাত্রীদের শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে। এসব ঘটনার প্রেক্ষিতে শিক্ষার্থীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
এ ব্যাপারে মাদরাসার গভর্ণিং বডির সদস্য শরিয়ত উল্লাহ হাওলাদার বলেন, ‘আমরা দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষার্থীদের আসা-যাওয়ার সময় বহিরাগত ছেলেদের রাস্তার দুই পাশে বসে মোবাইলে গেম খেলতে দেখি। তাদের অভিভাবকদের কাছে একাধিকবার বলেও আমরা কোনো উপকার পাই নাই, যার জন্য শিক্ষার্থীরা নিজেরা রাস্তায় নামতে বাধ্য হয়েছে।’
মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা ইয়াছিন মুনির বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের মাদরাসায় আসা-যাওয়ার পথে বহিরাগতরা যাতে কোনো সমস্যা করতে না পারে এজন্য আমরা আইনি ব্যবস্থা নেব।’
এ বখাটেদের কাছে মেয়ে শিক্ষার্থী, অভিভাবক, স্কুল কমিটির সদস্যসহ সবাই ভীতসন্ত্রাস্ত। কখন কি ঘটিয়ে ফেলে এ দুশ্চিন্তায় ভুগতে থাকেন। অনেক সময় আইনের কথা বললে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে থাকে। সন্ত্রাসী শাকিল খান গংদের কাছে সবাই অসহায়। ভয়ে কেউ মুখ খুলে না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মাদরাসার এক শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘মাদরাসার সামনে একটি ব্রিজ রয়েছে সেখান থেকে আবুল হোসেন সরদার বাড়ি হয়ে জাকির হাওলাদার বাড়ি পর্যন্ত এলাকাটি ফাঁকা এখানে বাড়িঘর না থাকায় স্কুল মাদরাসার সময় হলেই বহিরাগত ছেলেরা জাকির হাওলাদারের দোকান, মাদরাসার সামনের ব্রিজ এবং গুচ্ছগ্রামের ফাঁকা ঘরের সামনে বসে আড্ডা দেয় এবং ছাত্রীরা যাওয়া আসার পথে তারা ইভটিজিং করে। এ ব্যাপারে এলাকাবাসী প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।’