ভোলায় বিএনপির বিক্ষোভে বোমা বিস্ফোরণের জেরে বিজেপি কার্যালয়ে ভাঙচুর

সংঘর্ষে পুলিশসহ ১০ জন আহত হয়েছে। এ ঘটনার জন্য পরস্পরকে দায়ী করছে বিএনপি ও বিজেপি।

শাহাদাত হোসেন শাহীন, ভোলা

Location :

Bhola
পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়
পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয় |নয়া দিগন্ত

ছাত্রদল নেতা সিফাত হত্যার বিচারের দাবিতে ভোলায় বিএনপির বিক্ষোভ মিছিলে হাতবোমা বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে। এর জের ধরে শহরের নতুন বাজার এলাকায় জেলা বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ ওঠে।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কয়েকটি ফাঁকা গুলি ছুড়েছে। সংঘর্ষে পুলিশসহ ১০ জন আহত হয়েছে। এ ঘটনার জন্য পরস্পরকে দায়ী করছে বিএনপি ও বিজেপি।

সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) বিকেল ৪টার দিকে ভোলা শহরের নতুন বাজার জেলা বিজেপি কার্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন সদর মডেল থানার ওসি মনিরুল ইসলাম।

বিএনপি নেতাকর্মীরা জানান, পূর্বঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের সহস্রাধিক নেতাকর্মী বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে জেলা কার্যালয় থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মিছিলটি শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে বাংলা স্কুল মোড়, কালীবাড়ির চত্বর হয়ে পুনরায় দলীয় কার্যালয়ের দিকে ফিরছিল। এ সময় হঠাৎ বিজেপি কার্যালয়ের কাছে কয়েকটি হাতবোমার বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়।

এতে মিছিলকারীদের একটি অংশ উত্তেজিত হয়ে নতুন বাজারে জেলা বিজেপি কার্যালয়ের সামনে গিয়ে ভাঙচুর চালায়। তখন পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কয়েকটি ফাঁকা গুলি করে এবং মিছিলকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।

এ সময় কিছু লোক বিজেপি কার্যালয়ে ঢুকে আসবাবপত্র ও টেলিভিশন ভাঙচুর করে এবং কার্যালয়ে তালা লাগিয়ে চত্বরে বিক্ষোভ করে। পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

এ ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক মোতাছিম বিল্লা অভিযোগ করে বলেন, ‘দুপুরে আমাদের অফিস বন্ধ ছিল। বিকেলে বিএনপির মিছিল চলাকালে একদল সন্ত্রাসী অফিসে হামলা চালিয়ে তালা ভেঙে ভেতরে ঢুকে আসবাবপত্র ও টিভি ভাঙচুর করে। এমনকি অফিসে থাকা নির্বাচনী লিফলেট রাস্তায় ছুড়ে ফেলে।’

অপরদিকে, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এনামুল হক বলেন, ‘ছাত্রদল নেতা সিফাত হত্যার বিচারের দাবিতে আমরা শান্তিপূর্ণভাবে পূর্বঘোষিত কর্মসূচি পালন করেছি। বিজেপি অফিস ভাঙচুরের ঘটনার সাথে বিএনপির কোনো সম্পৃক্ততা নেই।’

ওসি মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘হাতবোমার বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে এবং একদল লোক বিজেপি কার্যালয়ে ভাঙচুরের চেষ্টা চালায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ফাঁকা গুলি ছুড়ে।’