দৌলতদিয়ায় কর্মমুখী মানুষের ঢল, বাড়তি ভাড়া আদায়ের অভিযোগ

কোনো ভোগান্তি না থাকায় যানবাহনের চালক হেলপাররা সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, ‘দৌলতদিয়া ঘাটে এবার ঈদে তেমন সমস্যা নাই।’

মেহেদুল হাসান আক্কাস, গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী)

Location :

Rajbari
দৌলতদিয়ায় কর্মমুখী মানুষের ঢল, বাড়তি ভাড়া আদায়ের অভিযোগ
দৌলতদিয়ায় কর্মমুখী মানুষের ঢল, বাড়তি ভাড়া আদায়ের অভিযোগ |নয়া দিগন্ত

ঈদুল আজহার লম্বা ছুটি শেষে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়ায় রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকার কর্মস্থলে ফেরা মানুষের ঢল বইছে। প্রতিদিন দেশের দক্ষিণাঞ্চলের হাজার হাজার মোটরসাইকেল, শত শত প্রাভেটকার, মাইক্রোবাস ও পরিবহন বাসসহ নানা শ্রেণি পেশার লাখ লাখ জনগণ পদ্মা পার হচ্ছে। তবে নেই কোনো ভোগান্তি। দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে পদ্মা পারাপারে রয়েছে পর্যাপ্ত ফেরি ও লঞ্চ। এছাড়া অগণিত পায়ে হাটা যাত্রীকে নদী পার হতে দেখা যায়। তবে ফেরি পারাপারের চেয়ে লঞ্চ পারাপারে যাত্রী সংখ্যা বেশি দেখা যায়।

যানজট মুক্ত পরিবেশে নির্বিঘ্নে নদী পার হতে পারায় যাত্রী ও চালকরা সন্তোষ প্রকাশ করলেও তাদের মুখে শোনা যায় অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ। লঞ্চ ও ফেরিতে পায়ে হেঁটে ওঠা যাত্রীদের কাছ থেকে টিকিট প্রতি ৫-১০ টাকা ও বিআইডব্লিউটিসির ফেরি কাউন্টারে গাড়ি প্রতি ১০-৫০ টাকা এমনকি ১০০ টাকা অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ রয়েছে।

সরেজমিন শুক্র ও শনিবারে দৌলতদিয়া ঘাট পরিদর্শনের সময় শত শত মোটরসাইকেল, বাস, মিনিবাস গুলোকে ফেরি পার হতে দেখা যায়। এ সময় কয়েক শত ছোট বড় যানবাহনের সিরিয়াল দেখা যায়। তবে কোনো ভোগান্তি না থাকায় যানবাহনের চালক হেলপাররা সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, ‘দৌলতদিয়া ঘাটে এবার ঈদে তেমন সমস্যা নাই।’

তবে কুষ্টিয়া, যশোর ঝিনাইদহ মাগুরা থেকে আসা মোটরসাইকেল চালক রবিন, মাসুদ, ফারুক অনেকেই অভিযোগ করে বলেন, ‘কাউন্টারে ১২০ টাকা ফেরি টিকিট ও ২০ টাকা টোলের টাকাসহ মোট ১৪০ টাকা হলেও ১৫০ টাকা নিয়েছে। এ ছাড়া পাঁচ শ’ বা এক হাজার টাকার নোট ভাংতি দেয় না।’

এদিকে প্রাইভেটকার চালক আ: রহিম, আ: জব্বারের থেকে ফেরি ভাড়া ৭৫০ টাকার স্থলে নিয়েছে ৮০০ টাকা নিয়েছে।

মাইক্রো চালক মমিন বেপারী, লিটন দাস বলেন, ‘১১৫০ টাকার ভাড়া নিয়েছে ১২০০ টাকা।’ এছাড়া ট্রাক চালক, রফিক, সলেমান, শফিকুল জানান, ভাড়া ২১০০ টাকা হলেও তাদের কাছ থেকে ২২০০ টাকা নেয়া হয়েছে।

খোঁজ নিতে গিয়ে দেখা যায়, বিআইডব্লিউটির ফেরি কাউন্টারের সামনে আনসার সদস্য মিজানুরকে কাউন্টারের বাইরে হাতে করে টিকিট নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে অতিরিক্ত মূল্যে টিকিট বিক্রি করতেছে।

জানতে চাইলে কাউন্টারে দায়িত্বে থাকা কর্মচারী এবং ওই আনসার সদস্য বলেন, ‘অতিরিক্ত চাপ সামাল দিতে বাইরে টিকিট বিক্রি করা হচ্ছে। তবে তারা অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ অস্বীকার করেন।’

এ বিষয়ে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটের দৌলতদিয়া বিআইডব্লিউটি ম্যানেজার সালাহউদ্দিন বলেন, ‘এ রুটে প্রয়োজনের তুলনায় পর্যাপ্ত ফেরি রয়েছে। যানজন বাধার কোনো সম্ভাবনা নাই।’

অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘যাত্রীদের কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।’