পটুয়াখালীর সাবেক পৌর মেয়রসহ তিনজনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

দুদকের পটুয়াখালী কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক তাপস বিশ্বাস এ মামলা করেন।

পটুয়াখালী প্রতিনিধি

Location :

Patuakhali
সাবেক মেয়র ডা: শফিকুল ইসলাম
সাবেক মেয়র ডা: শফিকুল ইসলাম |নয়া দিগন্ত

পটুয়াখালী পৌরসভায় অবৈধ নিয়োগের মাধ্যমে ৫৪ লাখ ৪৩ হাজার টাকারও বেশি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে সাবেক মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ডা: শফিকুল ইসলামসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) দুদকের পটুয়াখালী কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক তাপস বিশ্বাস এ মামলা করেন।

মামলায় উল্লেখ করা হয়, পৌরসভায় নিয়োগ বিধি উপেক্ষা করে জাল সনদের মাধ্যমে দু’ব্যক্তিকে চাকরি দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ করেছেন সংশ্লিষ্টরা।

এজাহারে বলা হয়, ২০১৩ সালের ৩ মার্চ মো: দেলোয়ার হোসেনকে সহকারী অ্যাসেসর পদে নিয়োগ দেন পটুয়াখালী পৌরসভার তৎকালীন মেয়র ডা: শফিকুল ইসলাম। এই পদে নিয়োগের জন্য স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রি প্রয়োজন হলেও দেলোয়ার হোসেন জাল সনদের মাধ্যমে চাকরি নেন।

এছাড়া ২০১১ সালের ২০ সেপ্টেম্বর মো: সুমন হাওলাদার নামে এক ব্যক্তিকে পৌর স্বাস্থ্য সহকারী পদে নিয়োগ দেন মেয়র। যদিও এই পদে নিয়োগের জন্য এইচএসসি (বিজ্ঞান বিভাগ/জীববিজ্ঞান) এবং বাস্তব অভিজ্ঞতা আবশ্যক ছিল, যা সুমনের ছিল না। তবুও নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে তাকে নিয়োগ দেয়া হয়।

দুদকের অভিযোগপত্রে আরো বলা হয়, চাকরি নেয়ার পর মো: দেলোয়ার হোসেন চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ২৮ লাখ ৬২ হাজার ৩২৪ টাকা এবং সুমন হাওলাদার ২৫ লাখ ৮১ হাজার ৫৩৭ টাকা সরকারি বেতন হিসেবে উত্তোলন করেছেন। অবৈধ নিয়োগপ্রাপ্ত ওই দু’জনের মোট আত্মসাতের পরিমাণ দাঁড়ায় ৫৪ লাখ ৪৩ হাজার ৮৬১ টাকা।

এ ঘটনায় দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭-এর ২ নম্বর ধারা এবং দণ্ডবিধি ১৮৬০-এর ১০৯, ৪০৯ ও ৪২০ ধারায় মামলা করা হয়েছে। মামলায় দেলোয়ার এবং সুমনকের নাম রয়েছে। এর আগে গত ৯ জুলাই বিষয়টি তদন্ত করে দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে মামলা দায়েরের অনুমতি দেয়া হয়।