ডাকসু নির্বাচন নিয়ে স্ট্যাটাস, সমালোচনার মুখে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ওসি

সরকারি কর্মকর্তার এমন পোস্ট আইন ও চাকরি বিধির পরিপন্থী। হ্যাকিংয়ের অজুহাত দেখালেও বিষয়টি প্রশাসনিক তদন্তের আওতায় আসা উচিত।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি

Location :

Brahmanbaria
সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: মোজাফফর হোসাইন
সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: মোজাফফর হোসাইন |নয়া দিগন্ত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন ঘিরে ছাত্রদল মনোনীত প্রার্থীদের পক্ষে প্রকাশ্যে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে সমালোচনার মুখে পড়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: মোজাফফর হোসাইন।

জানা গেছে, আজ মঙ্গলবার ভোরে ওসি মোজাফফর হোসাইন তার ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডি থেকে ডাকসু নির্বাচন সংক্রান্ত একটি স্ট্যাটাস পোস্ট করেন। সেখানে তিনি ছাত্রদল মনোনীত ভিপি, জিএস ও এজিএস প্রার্থীর ব্যালট নম্বর উল্লেখ করে লেখেন- ‘মেধাবীদের জন্য শুভকামনা রইল। ২১, ১৭, ০৮।’

আইন অনুযায়ী সরকারি চাকরিজীবীদের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ বা প্রকাশ্য সমর্থন প্রদান সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। অথচ একজন সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে ওসির এমন রাজনৈতিক অবস্থান প্রকাশ করায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তীব্র সমালোচনা শুরু হয়। পরে কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে তিনি স্ট্যাটাসটি মুছে ফেলেন।

সাংবাদিকদের কলে তিনি দাবি করেন, তার ফেসবুক আইডি হ্যাক হয়েছিল। তবে পরে নিজের আইডিতেই আবার পোস্ট দিয়ে লেখেন- ‘আইডিতে শকুনের চোখ পড়েছে। হ্যাক করার চেষ্টা চলছে।’

এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জেলায় কর্মরত এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘সরকারি কর্মকর্তার এমন পোস্ট আইন ও চাকরি বিধির পরিপন্থী। হ্যাকিংয়ের অজুহাত দেখালেও বিষয়টি প্রশাসনিক তদন্তের আওতায় আসা উচিত।’

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বারের একাধিক আইনজীবী জানান, ‘সরকারি কর্মচারী আচরণ বিধিমালা অনুযায়ী তিনি গুরুতর অনিয়ম করেছেন। যদি সত্যিই হ্যাক হয়, তবে সেটি প্রমাণ করার দায়িত্ব তার। না হলে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেয়া বাধ্যতামূলক।’

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকেই মন্তব্য করেছেন, একজন থানার ওসির কাছ থেকে রাজনৈতিক নিরপেক্ষতা প্রত্যাশিত। হ্যাকিংয়ের অজুহাত দিয়ে দায় এড়ানো যাবে না।