জামায়াতের কেন্দ্রীয় প্রচার বিভাগীয় সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ বলেছেন, ‘পিআর (প্রোপোরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন) পদ্ধতিতে সকলের অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে যদি পেশীশক্তি ও কালো টাকামুক্ত কোয়ালিটিপূর্ণ পার্লামেন্ট হয়, সরকার গঠন হয়, তাহলে কোনো রাজনৈতিক দলের পক্ষে ফ্যাসিবাদী হয়ে ওঠার সম্ভাবনা নেই।’
শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর খুলনা মহানগরী ও জেলা শাখা নগরীর ফেরিঘাট সোনালী ব্যাংক চত্বরে জুলাই জাতীয় সনদের ভিত্তিতে ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনসহ ৫ দফা দাবিতে সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মতিউর রহমান আকন্দ বলেন, ‘২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা পালিয়ে গেছে। এরপর ছাত্র-জনতার আকাঙ্খা অনুযায়ী অন্তবর্তী সরকার ক্ষমতা গ্রহণ করেছে। সেই জনগণের ৭০ ভাগ পিআরের পক্ষে সমর্থন জানিয়েছে। ঐকমত্য কমিশনে ৩১ দলের মধ্যে ২৫টি দল পিআরের পক্ষে রয়েছে। তাই পিআর বাস্তবায়নের জন্য গণভোট দিন। রায় পিআরের পক্ষে আছে নাকি বিপক্ষে আছে যাচাই করুন।’
তিনি আরো বলেন, ‘একটি দলের কেউ কেউ বলছেন- পিআর খায় না মাথায় দেয়। কোনো রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব এটা বলতে পারে না। তারা পিআর ঠেকাতে চায়।’ এসময় তিনি দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত জনগণকে রাজপথে থাকার উদাত্ত আহ্বান জানান।
খুলনা মহানগরী আমির খুলনা-৩ আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী অধ্যাপক মাহফুজুর রহমানের সভাপতিত্বে এবং সহকারী সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ শাহ আলম ও প্রিন্সিপাল শেখ জাহাঙ্গীর আলমের পরিচালনায় কর্মসূচিতে বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সেক্রেটারি ও খুলনা অঞ্চল পরিচালক সাতক্ষীরা-২ আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী মুহাদ্দিস আব্দুল খালেক, খুলনা অঞ্চল সহকারী পরিচালক খুলনা-৬ আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, খুলনা অঞ্চল টিম সদস্য মাস্টার শফিকুল আলম এবং খুলনা জেলা আমির মাওলানা এমরান হুসাইন।
অন্যদের মধ্যে বক্তৃতা করেন খুলনা মহানগরী নায়েবে আমির অধ্যাপক নজিবুর রহমান, খুলনা জেলা নায়েবে আমির মাওলানা গোলাম সরোয়ার ও খুলনা-৪ আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী অধ্যক্ষ মাওলানা কবিরুল ইসলাম, মহানগরী সেক্রেটারি ও খুলনা-২ আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী অ্যাডভোকেট শেখ জাহাঙ্গীর হুসাইন হেলাল, খুলনা জেলা সেক্রেটারি মুন্সি মিজানুর রহমান, বটিয়াঘাটা উপজেলা আমির ও খুলনা-১ আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী মাওলানা শেখ মো: আবু ই্উসুফ, খুলনা জেলা সহকারী সেক্রেটারি মুন্সি মঈনুল ইসলাম, মহানগরী শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি আজিজুল ইসলাম ফারাজী, ইসলামী ছাত্রশিবিরের খুলনা জেলা সভাপতি মো: ইউসুফ ফকির ও মহানগরী সেক্রেটারি রাকিব হাসান। সমাবেশ শেষে মিছিল বের করা হয়।