মুক্তিপণের দাবিতে অপহৃত কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলা এনসিপি নেতা নাঈমুল ইসলাম পরাগকে উদ্ধার করেছে ময়মনসিংহের পুলিশ ও ডিবির যৌথ টিম।
শুক্রবার (২২ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে এনসিপির পাকুন্দিয়া উপজেলা শাখা কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানান ওই এনসিপি নেতা পরাগ।
এর আগে বুধবার (২০ আগস্ট) দিবাগত রাত ১টার দিকে ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ থানা এলাকা থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়।
উদ্ধার পরাগ উপজেলার চরফরাদী গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে এবং জাতীয় নাগরিক পার্টি’র (এনসিপি) পাকুন্দিয়া উপজেলা শাখার সদস্য।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে পরাগ জানান, গত ১৯ আগস্ট বিকেলে তিনি ব্যাবসায়িক কাজে ময়মনসিংহ সদরে যান। পরে সন্ধ্যা ৭টার দিকে বাইকে করে দু’জন অপরিচিত লোক এসে তাকে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সামনে থেকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে অজ্ঞাতস্থানে নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে তার উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালায়। একপর্যায়ে মোবাইলফোনে তার পরিবারের কাছে আট লাখ বিশ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করে।
তিনি আরো জানান, ঘটনায় পরিবার এতো টাকা দিতে অক্ষমতা প্রকাশ করলে অপহরণকারীরা সর্বশেষ দুই লাখ টাকায় তাকে ছেড়ে দিতে রাজি হয়। পরে বাবা অপহরণকারীদের দেয়া বিকাশ নম্বরে দুই লাখ টাকা পাঠান। পরে অপহরণকারীরা তাকে একটি অজ্ঞাত স্থানে ফেলে রেখে চলে যায়। সেখান থেকে ময়মনসিংহ অঞ্চলের ডিবি পুলিশ উদ্ধার করে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা এনসিপির প্রধান সমন্বয়ক মো: রাজিন সালেহ, সিনিয়র যুগ্ম সমন্বয়ক নীরব আহাম্মেদ রুবেল, যুগ্ম সমন্বয়ক আফসার উদ্দিন আশরাফী, সদস্য আমিনুল ইসলাম হিমেল।
এ বিষয়ে ময়মনসিংহ অঞ্চলের ডিবি পুলিশের এসআই মইনুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, গত বুধবার রাতে এনসিপির একজন কেন্দ্রীয় নেতা আমাকে মোবাইলফোনে অপহরণের বিষয়টি জানান। পরে ময়মনসিংহ অঞ্চলের পুলিশ ও ডিবির সদস্যরা যৌথ অভিযান চালিয়ে রাত ১টার দিকে ঈশ্বরগঞ্জ থানা এলাকা থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়। বৃহস্পতিবার সকালে তাকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। অপহরণের ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ না থাকায় এ বিষয়ে আইনি পদক্ষেপ নেয়া যায়নি।