একটি ব্যাটারিচালিত গাড়ির আকুতি জীবনগরের শারীরিক প্রতিবন্ধী আব্দুর রহিমের

তার দুই পা ও দুই হাত প্রায় অকেজো। পা দু’টি একেবারেই অবশ। এ অবস্থায় বর্তমানে বাবা-মায়ের একটি ছাপড়া ঘরে তিনি কোনোমতে মানবেতর জীবন কাটাচ্ছেন।

আতিয়ার রহমান, জীবননগর (চুয়াডাঙ্গা)

Location :

Jibannagar
আব্দুর রহিম
আব্দুর রহিম |নয়া দিগন্ত

চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার সীমান্ত ইউনিয়নের গয়েশপুর গ্রামের দিনমজুর হযরত আলীর ছেলে আব্দুর রহিম (৩০)। জন্মের পর স্বাভাবিকভাবে বেড়ে উঠলেও ১০-১২ বছর বয়সে একদিন জ্বরে আক্রান্ত হন। পরিবার তাকে টাকার অভাবে উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে না পারায় তিনি এখন শারীরিক প্রতিবন্ধী।

তার দুই পা ও দুই হাত প্রায় অকেজো। পা দু’টি একেবারেই অবশ। এ অবস্থায় বর্তমানে বাবা-মায়ের একটি ছাপড়া ঘরে তিনি কোনোমতে মানবেতর জীবন কাটাচ্ছেন।

ভিক্ষাবৃত্তিই এখন তার একমাত্র আয়ের উৎস। কিন্তু হাতে ঠেলা হুইল চেয়ার গাড়িটির খুবই বেহালদশা হওয়ায় এবং তার হাত দু’টি দিন দিন

দুর্বল হয়ে পড়ায় তার ওই ঠেলাগাড়ি দিয়ে চলাচল করা খুব কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে।

আব্দুর রহিমের দাবি, ‘কত নেতা, কত মানুষের কাছে বললাম কেউ আমার একটি গাড়ির ব্যবস্থা করতে পারলেন না!’

শারীরিক প্রতিবন্ধী আব্দুর রহিমের আকুতি, কেউ যদি তাকে একটি ব্যাটারিচালিত গাড়ি কিনে দিতেন তাহলে তার চলাচলে কিছুটা হলেও কষ্ট লাঘব হতো।

তার দাবি, ‘তিনি আগের মতো হাত দিয়ে গাড়ি ঠেলতে পারেন না। বর্তমান যে গাড়ি ব্যবহার করেন, সে গাড়িতে উঁচু-নিচু স্থান দিয়ে যাতায়াত ও বর্ষাকালে চলাচল করা খুব কষ্টসাধ্য। অনেক সময় পথচারীদের সহযোগিতায় তাকে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যেতে হয়। একটি ব্যাটারিচালিত গাড়ির জন্য অনেকের কাছেই গিয়েছি, কিন্তু কেউ এ পর্যন্ত এগিয়ে আসেনি।’

তাই তিনি চলাফেরার জন্য সমাজের বিত্তবান, প্রবাসী ও হৃদয়বানদের কাছে একটি ব্যাটারিচালিত গাড়ির জন্য আবেদন করেছেন।

প্রতিবন্ধী আব্দুর রহিমের বাবা হযরত আলী বলেন, ‘আমি একজন দিনমজুর। আমার ছেলের জন্য একটি ব্যাটারিচালিত গাড়ি কিনে দেয়ার মতো সামর্থ নেই। কোনো দয়ালু ব্যক্তি যদি আমার ছেলেটাকে একটা ব্যাটারিচালিত গাড়ি দিতেন তাহলে আমরা তাকে অনেক দোয়া করতাম। আমার ছেলে স্থানীয় নেতাকর্মীদের মাধ্যমে জেলা বিএনপির সভাপতি ও বিজিএমইএ’র সভাপতি মাহমুদ হাসান খান বাবুর কাছে আবেদন করেছিল। তার কী অবস্থা তা এখনো আমরা জানি না।’

সীমান্ত ইউনিয়ন পরিষদের সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের মেম্বার সাইফুল ইসলাম পাকু ও গয়েশপুর গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা নুর ইসলাম বলেন, ‘এই প্রতিবন্ধী ছেলেটাকে বাড়ির বাইরে যেতে ও চলাচল করতে অনেক কষ্ট করতে হয়। একটি সচল গাড়ির জন্য ভিক্ষা করতেও তাকে অনেক দুর্ভোগ পোহাতে হয়। তার পরিবারের একটি ব্যাটারিচালিত গাড়ি কেনার সামর্থ নেই। কেউ একটি ব্যাটারিচালিত গাড়ি দান করলে তার জন্য খুবই উপকার হতো। ছেলেটি হতদরিদ্র পরিবারের সন্তান হওয়ায় অর্থাভাবে মানবেতর জীবনযাপন করছে।’

শারীরিক প্রতিবন্ধী আব্দুর রহিমের সাথে যোগাযোগের ও বিকাশ নম্বর-০১৯৩৬-৩৭৩০৪৪ এবং যেকোনো প্রয়োজনে ০১৭১৮-৮৪৯১৮৬ নম্বরে ফোন দেয়া যাবে।