শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার মামলায় ‘আ’লীগ ঘনিষ্ঠ’ বিএনপি নেতা গ্রেফতার

ওসি বললেন, বিএনপি করার সার্টিফিকেট নেই

এদিকে মামলার বাদি এনসিপি নেত্রী জয়ন্তী বিশ্বাস বলেন, ‘আমার দায়ের করা মামলায় ফারুক আহমেদ নামে কাউকে আসামি করা হয়নি।’

মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক, ব্রাহ্মণবাড়িয়া

Location :

Brahmanbaria
ফারুক আহমেদ
ফারুক আহমেদ |সংগৃহীত

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে ২০২৪ সালের ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার মামলায় ফারুক আহমেদ ওরফে লাল ফারুক নামে এক বিএনপি নেতাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

সোমবার (১০ নভেম্বর) দুপুরে আশুগঞ্জ বাজারে তার ধান-চালের আড়ৎ থেকে আশুগঞ্জ থানা পুলিশ তাকে আটক করে।

ফারুক আহমেদ আশুগঞ্জ উপজেলা শহীদ জিয়া স্মৃতি সংসদের সাবেক সহ-সভাপতি। বর্তমানে তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির উপদেষ্টা ও উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আবু আসিফ আহমেদের অনুসারী হিসেবে কাজ করছেন।

আশুগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: খাইরুল আলম বলেন, ‘লাল ফারুক বিএনপি করেন বলে কোনো সার্টিফিকেট নেই। বরং বিগত আমলে আওয়ামী লীগ নেতাদের সাথে বিভিন্ন সভা-সমাবেশে অংশ নিয়েছেন। গোয়েন্দা রিপোর্টের ভিত্তিতে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।’

ওসি আরো বলেন, ‘ফারুক আহমেদকে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে দায়ের করা মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।’

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির উপদেষ্টা ও উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আবু আসিফ আহমেদ দাবি করেন, ‘ফারুক আহমেদ বিএনপির নিবেদিতপ্রাণ কর্মী। তিনি কখনো দলের বাইরে ছিলেন না। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় তিনি শিক্ষার্থীদের পানি পান করিয়েছিলেন। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে বিজয়ী এমপি প্রার্থীর সংবর্ধনায় উপস্থিত থাকায় তাকে বিতর্কিত করা ঠিক নয়।’

তিনি অভিযোগ করেন, ‘ফারুক আহমেদ কিছু বিএনপি নেতার অবৈধ বালু ব্যবসা ও মামলাবাজির বিরুদ্ধে কথা বলায় একটি মহল তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনের পক্ষের একজন কর্মীকে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার মামলায় গ্রেফতার করা হাস্যকর। আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।’

এদিকে মামলার বাদি এনসিপি নেত্রী জয়ন্তী বিশ্বাস বলেন, ‘আমার দায়ের করা মামলায় ফারুক আহমেদ নামে কাউকে আসামি করা হয়নি।’