মনিরামপুরে মৃত্যুর আড়াই মাস পর কবর থেকে বৃদ্ধের লাশ উত্তোলন

লাশ উত্তোলনের সময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা নেহালপুর ক্যাম্প ইনচার্জ রেজাউল করিম।

আব্দুল মতিন, মনিরামপুর (যশোর)

Location :

Jashore
আড়াই মাস পর কবর থেকে বৃদ্ধের লাশ উত্তোলন করা হচ্ছে
আড়াই মাস পর কবর থেকে বৃদ্ধের লাশ উত্তোলন করা হচ্ছে |ছবি : নয়া দিগন্ত

যশোরের মনিরামপুরের নেহালপুর গ্রামের মজিদ দফাদার (৬৫) নামের এক বৃদ্ধের লাশ আদালতের নির্দেশে করব থেকে উত্তোলন করা হয়েছে।

মৃত্যুর আড়াই মাস পর বোববার (৭ ডিসেম্বর) সকালে লাশটি উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়।

মনিরামপুরের সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাদুসুর রহমানের উপস্থিতিতে লাশ কবর থেকে তোলা হয়।

মজিদ দফাদার নেহালপুর গ্রামের মৃত মোল্যা দফাদারের ছেলে।

জানা যায়, জমি নিয়ে বাবা মজিদ দফাদারের সাথে ছেলে সোহরাব দফাদারের বিরোধ চলে আসছিল বলে অভিযোগ ওঠে। জমির শরীক ফাঁকি দিয়ে নিজের নামে জমি লিখে নিতে বাবা মজিদ দফাদারকে চাপ প্রয়োগ করে। এতে রাজি না হওয়ায় ১৫ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় বাবাকে মারপিট করে একটি ঘরে তালাবদ্ধ করে রাখে ছেলে সোহরাব দফাদার বলে অভিযোগ। একপর্যায় বাবার মৃত্যু হলে তড়িঘড়ি করে পরদিন ভোরে দাফন করা হয়।

এতে স্থানীয়সহ স্বজনদের মাঝে সন্দেহের সৃষ্টি হয়। পরে সোহরবারের আপন ভগ্নিপতি পার্শ্ববর্তী খাকুন্দি গ্রামের সাত্তার মোল্যা ২৯ সেপ্টেম্বর হত্যার অভিযোগে সোহরাবের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করেন। গত ১১ নভেম্বর মনিরামপুর থানায় মামলাটি রেকর্ড হয়। মামলার পরিপ্রেক্ষিতে আদালতের নির্দেশে ময়নাতদন্তের জন্য কবর থেকে লাশ উত্তোলন করা হলো।

লাশ উত্তোলনের সময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা নেহালপুর ক্যাম্প ইনচার্জ রেজাউল করিম।

মনিরামপুরের সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাসুদুর রহমান বলেন, লাশ উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের জন্য যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা রেজাউল করিম জানান, গত ৫ নভেম্বর সোহরাবকে আটক করে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।