বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বারি) উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্রের সবজি বিভাগের আয়োজনে সবজি চাষে প্রযুক্তিগত অগ্রগতি ও কৃষকদের অংশগ্রহণমূলক গবেষণা কার্যক্রমকে এগিয়ে নিতে সবজি বিভাগের গবেষণা মাঠে ‘কৃষকদের অভিজ্ঞতা বিনিময় সফর’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই সফরে গাজীপুর অঞ্চলের ৫০ জন টমেটো চাষি অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।
রোববার (১৭ আগস্ট) এ অভিজ্ঞতা বিনিময় সফর অনুষ্ঠিত হয়।
বারি’র মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা (সবজি বিভাগ) ড. এ কে এম কামরুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বারি’র পরিচালক (উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্র) ড. ফারুক আহমেদ।
এছাড়াও বারি’র বিভিন্ন কেন্দ্র ও বিভাগের সিনিয়র বিজ্ঞানীরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা (সবজি বিভাগ) ড. মো: মাহবুবার রহমান সেলীম।
প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বারি মহাপরিচালক বলেন, ‘উন্নত টমেটো জাত সারাবছর উৎপাদন, পুষ্টি ও কৃষকের আয় বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে’। ওই গবেষণা কার্যক্রম সম্পাদিত হয় ‘ডেভেলপমেন্ট অব ভেজিটেবল ব্রিডিং টেকনোলজি ইন এশিয়া রিজিওন (এএফএসি আই)’ শীর্ষক প্রকল্প এর আওতায়।
বারি সম্পাদক ও প্রটোকল অফিসার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) হাসান হাফিজুর রহমান জানান, নভেম্বর ২০২২ থেকে অক্টোবর ২০২৫ পর্যন্ত বাস্তবায়িত এফএসিআই প্রকল্পের অধীনে ইতোমধ্যে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জিত হয়েছে। এই উদ্যোগে ওয়ার্ল্ড ভেজিটেবল সেন্টার (সাবেক এভিআরডিসি) থেকে ৪৩টি টমেটো জার্মপ্লাজম লাইন সংগ্রহ করা হয়।
এর মধ্যে উচ্চ ফলনশীল বারি টমেটো-২২ ও বারি টমেটো-২৩ নামে দুটি জাত অবমুক্ত করা হয়েছে, যা কৃষকদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। বর্তমানে ছয়টি ওপেন-পলিনেটেড (ওপি) লাইন এবং ১২টি সম্ভাবনাময় হাইব্রিড লাইন পরীক্ষাধীন রয়েছে, যেগুলো থেকে সারাবছর চাষযোগ্য উন্নত টমেটো জাত নির্বাচন করা হবে। কৃষকরা এসব লাইন পর্যবেক্ষণ করে ফলন, গুণাগুণ ও বাজার সম্ভাবনা সম্পর্কে মতামত দেবেন, যা ভবিষ্যতে জাত অবমুক্তকরণে সহায়ক হবে।