রামু সংবাদদাতা ও কক্সবাজার অফিস
কক্সবাজারের রামুতে বাস-প্রাইভেট কার সংঘর্ষে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। তাৎক্ষণিক নিহতদেরর পরিচয় পাওয়া যায়নি।
রোববার (২৪ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের রামুর স্বপ্নতরী পার্কের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
রামু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: তৈয়বুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ঢাকা থেকে প্রাইভেটকারে কক্সবাজার আসার পথে মারসা বাসের সাথে সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় স্পটে প্রাইভেট কারের দুই যাত্রী নিহত হন। এ ঘটনায় আরো ৫/৬ জন যাত্রী আহত হয়েছেন।
দুর্ঘটনার পর প্রাইভেট কারটিতে আগুন ধরে গেলে স্থানীয়রা পাশের পাহাড়ি ছড়ার পানি ঢেলে তা নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে গাড়িটি বিভিন্ন অংশ কেটে চারজনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। হাসপাতালে নেয়ার পর একজনের মৃত্যু হয়। নিহত ব্যক্তি বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইয়াছিন আহমেদ। তিনি প্রাইভেট কারটিতে চালকের আসনে ছিলেন। গাড়িতে থাকা পরিচয়পত্র দেখে তার পরিচয় শনাক্ত করেন উদ্ধারকারীরা।
এদিকে এ দুর্ঘটনার ২ ঘণ্টার পর দুর্ঘটনা কবলিত প্রাইভেটকারের ভেতরে ধ্বংসস্তুপে আটকে পড়া অবস্থা থেকে এক শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়। তবে তাৎক্ষণিক নিহত শিশুটির পরিচয় পাওয়া যায়নি।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রাম অভিমুখী মারছা পরিবহনের দ্রুতগতির বাসের সাথে কক্সবাজার অভিমুখী প্রাইভেটকারের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে প্রাইভেটকারের সামনের অংশ চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে আগুন ধরে যায়। এছাড়া মারছা পরিবহনের বাসটি সংঘর্ষের পর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশের গাছের সাথে সজোরে ধাক্কা লাগে। এতে মারছা গাড়ির বেশ কয়েকজন যাত্রী আহত হয়েছে। এতে গাড়িটির সামনের অংশ দুমড়ে-মুচড়ে গেছে।
দুর্ঘটনার সংবাদ পেয়ে রামু থানা, রামু তুলাতলী হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির সদস্য ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার তৎপরতা চালান।
রামু হাইওয়ে ক্রসিং থানার ওসি নাসির উদ্দিন জানান, ‘আহতদের পরিচয় জানার চেষ্টা করছি। আহতদের অবস্থাও আশঙ্কাজনক।’