ফেসবুক লাইভে এসে যুবকের আত্মহত্যা

ধুনট থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) এস এম অমিত হাসান মাহমুদ বলেন, ‘পরিবারিক কলহের কারণে আত্মহত্যা করেছে। এবিষয়ে লিখিত কোনো অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

Location :

Dhunat
ফেসবুক লাইভে এসে যুবকের আত্মহত্যা
ফেসবুক লাইভে এসে যুবকের আত্মহত্যা |নয়া দিগন্ত

রাকিবুল ইসলাম, ধুনট (বগুড়া)

বগুড়ার ধুনটে ফেসবুক লাইভে এসে রাসেল আহম্মেদ (৩৫) নামে এক যুবক বিষাক্ত ট্যাবলেট খেয়ে আত্মহত্যা করেছেন।

মঙ্গলবার (২৭ মে) দুপুর ১২টার দিকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

মৃত রাসেল আহম্মেদ ধুনট পৌরসভার পশ্চিমভরনশাহী এলাকার সোনা মিয়ার ছেলে। সে অনলাইন ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজ করতেন।

এরআগে সকাল ১০টার দিকে ধুনট পৌরসভার দক্ষিণ অফিসারপাড়া এলাকার একটি ভাড়া বাসায় নিজের ফেসবুক প্রোফাইল থেকে লাইভে আসে রাসেল। লাইভ চলার সময় অ্যালোমিনিয়াম ফসফাইট নামক দু’টি বিষাক্ত ট্যাবলেট খেয়ে অচেতন হয়ে পড়েন।

জানা যায়, গত দেড় বছর আগে ধুনট পৌরসভার দক্ষিণ অফিসারপাড়া এলাকার লুৎফর রহমানের মেয়ে নাদিয়া আক্তার প্রেমাকে বিয়ে করে রাসেল। এর কিছুদিন পর স্ত্রীকে নিয়ে ওই এলাকাতেই ভাড়া বাসায় বসবাস শুরু করে। কিন্তু তাদের দাম্পত্য জীবনে কলহ লেগেই থাকত। ফেসবুক লাইভে এসে দু’টি পরিবারকে মুক্তি দিয়ে যাচ্ছে বলে কান্না জড়িত কণ্ঠে জানায়।

নিহতের বাবা সোনা মিয়া জানান, মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে অন্যের ফেসবুকের মাধ্যমে জানতে পারি সে ফেসবুক লাইভে এসে আত্মহত্যা করছে। সেই সংবাদ পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘরের দরজা ভেঙ্গে তাকে উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করি। সেখানে দুপুর ১২টার দিকে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ফেসবুক লাইভের ৫৪ মিনিট ৫৮ সেকেন্ডের ভিডিওতে রাসেল মাহমুদ ২০ মিনিটের মধ্যেই দু’টি ট্যাবলেট খেয়ে ফেলেন। এসময় তাকে বলতে শোনা যায়, এটা অ্যালোমিনিয়াম ফসফাইট ট্যাবলেট। এটা খেলে বাঁচার সম্ভবনা নেই। তাই আমাকে কেউ বাঁচানোর চেষ্টা করবেন না। এর ২মিনিট পরই সে অচেতন হয়ে পড়েন এবং ১০মিনিট পরই তার পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করলেও দুই ঘণ্টার মধ্যে দুনিয়ার মায়া ত্যাগ করে চিরবিদায় নেয় রাসেল।

এ বিষয়ে ধুনট থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) এস এম অমিত হাসান মাহমুদ বলেন, ‘পরিবারিক কলহের কারণে আত্মহত্যা করেছে। এবিষয়ে লিখিত কোনো অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’