রাজশাহী দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের রায় ঘোষণা

এসএসসি পরীক্ষার্থীকে অপহরণ-ধর্ষণের দায়ে প্রধান শিক্ষকের যাবজ্জীবন

এসএসসি পরীক্ষার্থীকে অপহরণ করে ধর্ষণের দায়ে প্রধান শিক্ষক ফিরোজ আহমেদকে (৪৮) যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন রাজশাহীর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল।

আব্দুল আউয়াল, রাজশাহী ব্যুরো

Location :

Rajshahi
এসএসসি পরীক্ষার্থীকে অপহরণ-ধর্ষণের দায়ে প্রধান শিক্ষকের যাবজ্জীবন
এসএসসি পরীক্ষার্থীকে অপহরণ-ধর্ষণের দায়ে প্রধান শিক্ষকের যাবজ্জীবন |নয়া দিগন্ত

এসএসসি পরীক্ষার্থীকে অপহরণ করে ধর্ষণের দায়ে প্রধান শিক্ষক ফিরোজ আহমেদকে (৪৮) যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন রাজশাহীর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল। এছাড়া আরেকটি ধারায় তাকে ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডও দেওয়া হয়। রায় ঘোষণাকালে আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) দুপুরে রাজশাহীর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মহিদুজ্জামান মুহিত এ রায় ঘোষণা করেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত ফিরোজ আহমেদ নাটোর জেলার গুরুদাসপুর উপজেলার গোলাম মোস্তফার ছেলে এবং একই উপজেলার নাজিরপুর মরিয়ম মেমোরিয়াল বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।

আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট মুন্সি আবুল কালাম আজাদ গণমাধ্যমকে জানান, প্রধান শিক্ষক ফিরোজ আহমেদ এক শিক্ষার্থীকে প্রলোভন দেখিয়ে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। পরে ২০২২ সালের ১ অক্টোবর সকালে ব্যবহারিক পরীক্ষা দিতে গেলে তাকে স্কুলের মূল ফটকের সামনে থেকে ডেকে মাইক্রোবাসে তুলে অপহরণ করেন ফিরোজ। এরপর রাজশাহীতে এক আত্মীয়ের বাড়িতে নিয়ে গিয়ে আটকে রেখে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করেন।

এ ঘটনায় সেদিন রাতেই ওই শিক্ষার্থীর মা শিক্ষক ফিরোজ আহমেদসহ তিনজনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে গুরুদাসপুর থানায় মামলা করেন। পরে ফিরোজকে গ্রেফতার করে র‌্যাব।

তিনি আরো বলেন, তদন্ত শেষে পুলিশ ফিরোজ আহমেদসহ তার দুই ভাইকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। শুনানি শেষে প্রধান শিক্ষক ফিরোজ আহমেদকে দুটি ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন ও ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন আদালত। তবে তার দুই ভাইকে খালাস দেওয়া হয়। রায় ঘোষণার পর ফিরোজ আহমেদকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

পিপি মুন্সি আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘এই রায়ে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন বাদিপক্ষ।’