কালভার্টে রডের বদলে বাঁশ, ৭ দিনেই ধস

কালভার্ট নির্মাণে রডের বদলে বাঁশ ও কাঠ ব্যবহার করায় এক সপ্তাহ না যেতেই ধসে পড়েছে কালভার্টটি। ফলে গুরুত্বপূর্ণ ওই সড়ক দিয়ে সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে রয়েছে চলাচল।

দোয়ারাবাজার (সুনামগঞ্জ) সংবাদদাতা

Location :

Sunamganj
রডের বদলে বাঁশ ও কাঠ দিয়ে কালভার্ট নির্মাণ
রডের বদলে বাঁশ ও কাঠ দিয়ে কালভার্ট নির্মাণ |নয়া দিগন্ত

সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারের বোগলাবাজার ইউনিয়নে কালভার্ট নির্মাণে রডের বদলে বাঁশ ও কাঠ ব্যবহার করায় এক সপ্তাহ না যেতেই ধসে পড়েছে কালভার্টটি। ফলে গুরুত্বপূর্ণ ওই সড়ক দিয়ে সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে রয়েছে চলাচল। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দা ও পথচারীরা।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বোগলাবাজার ইউনিয়ন পরিষদের অর্থায়নে প্রায় ২ লাখ টাকা বাজেটে স্থানীয় ইউপি সদস্য জামিল আহমদের তত্ত্বাবধানে কাঁঠাল বাড়ি গ্রামের যাতায়াতের সড়কে কালভার্টটি নির্মাণ কাজ করা হয়। কিন্তু নির্মাণকাজে মানসম্পন্ন সামগ্রী ব্যবহার না করার অভিযোগ উঠে। পর্যাপ্ত রড না দিয়ে বাঁশ ও কাঠ ব্যবহারের কারণে দ্রুত ভেঙে পড়ে কালভার্টটি।

স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রকল্পের নামে বরাদ্দ অর্থের যথাযথ ব্যবহার হয়নি। নির্মাণকাজে অনিয়ম-দুর্নীতির কারণে জনসাধারণের চলাচলের গুরুত্বপূর্ণ পথটি দ্রুত নষ্ট হয়ে গেছে।

স্থানীয় বাসিন্দা নুরুজ্জামান জানান, ‘নির্মাণকাজ চলাকালে আমরা বাঁশ ও কাঠ ব্যবহারের বিষয়ে আপত্তি জানিয়েছিলাম। কিন্তু তারা আমাদের কথা শোনেনি। নিজেদের মতো কাজ চালিয়ে গেছে।’

দোয়ারাবাজার উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক স্থানীয় বাসিন্দা জহিরুল হক সানী বলেন, ‘কাঠালবাড়ি এলাকায় বাঁশ ও কাঠ দিয়ে যে কালভার্টটি নির্মাণ করা হয়, তা কয়েকদিনের মধ্যেই ধসে পড়ে। স্বৈরাচার পতনের পরেও দেশে এ ধরনের অনিয়ম ও দুর্নীতির উপস্থিতি অত্যন্ত হতাশাজনক।’

এদিকে কালভার্টের বিষয়ে জানতে ইউপি সদস্য জামিল আহমদকে একাধিকবার কল দেয়া হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

এ বিষয়ে বোগলাবাজার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিলন খান সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেয়া এক বার্তায় দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, ‘কালভার্টটি নির্মাণের বেশি দিন হয়নি। ভারী যানবাহন চলাচলের কারণে এটি ভেঙে গেছে।’

এ বিষয়ে দোয়ারাবাজার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অরুপ রতন সিংহ জানান, বিষয়টি দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।