সালথা (ফরিদপুর) সংবাদদাতা
ফরিদপুরের সালথায় কেরাম বোর্ড খেলা নিয়ে বিরোধের জেরে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের হয়েছে। এতে উভয়পক্ষের কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে বেশ কয়েক জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সংঘর্ষের সময় কয়েকটি বসতবাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করা হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে।
সোমবার (৬ অক্টোবর) সকাল ৮টার দিকে উপজেলার রামকান্তপুর ইউনিয়নের রামকান্তপুর গ্রামে এই সংঘর্ষ শুরু হয়।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, দুই-তিন দিন আগে রামকান্তপুর গ্রামের একটি বাজারে কেরাম বোর্ড খেলা নিয়ে স্থানীয় ওসমান তালুকদারের সমর্থক রাকিব নামে এক তরুণের সাথে প্রতিপক্ষের কুদ্দুস তালুকদারের সমর্থক লায়েক নামে আরেক তরুণের মারামারি হয়। খবর পেয়ে তখন পুলিশ গিয়ে ওই কেরাম বোর্ডটি থানা নিয়ে যায়। কিন্তু ওই দুই তরুণের মারামারি নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা চলছিলই। এরই জেরে সোমবার সকালে স্থানীয় চায়ের দোকানে দু’পক্ষের কথাকাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়।
তারা আরো জানায়, হাতাহাতির একপর্যায় উভয়পক্ষের সমর্থকরা দেশীয় অস্ত্র ঢাল-কাতরা, টেঁটা, সড়কি, ভেলা ও ইটপাটকেল নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী চলে সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া। সংঘর্ষের সময় ৪টি বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করা হয়েছে। এতে উভয়পক্ষের কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে কমপক্ষে ১০ জনকে ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ ও বোয়ালমারী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: আতাউর রহমান বলেন, সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ওই এলাকার পরিবেশ শান্ত রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। সংঘর্ষের ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো পক্ষই অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।