হবিগঞ্জে ১২ গ্রামে সংঘর্ষ, পুলিশসহ আহত ৫০

প্রথম দফায় পুলিশ সংঘর্ষ ঠেকাতে চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। পরে সেনাবাহিনী ও পুলিশের যৌথ দল পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

নয়া দিগন্ত অনলাইন

Location :

Habiganj
মিরপুর বাজারে সন্ধ্যা ৬টা থেকে শুরু হওয়া সংঘর্ষ চলে রাত ৯টা পর্যন্ত
মিরপুর বাজারে সন্ধ্যা ৬টা থেকে শুরু হওয়া সংঘর্ষ চলে রাত ৯টা পর্যন্ত |ছবি : সংগৃহীত

হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলায় মোটরসাইকেলের ব্যাটারি কেনাকে কেন্দ্র করে কয়েকটি গ্রামে সংঘর্ষ হয়। পরে মাইকে ঘোষণা দিয়ে টর্চ লাইট জ্বালিয়ে সংঘর্ষটি ১২টি গ্রামে ছড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে পুলিশসহ কমপক্ষে অর্ধশতাধিক আহত হয়েছেন। তাদের বাহুবল ও হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালসহ স্থানে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) মিরপুর বাজারে সন্ধ্যা ৬টা থেকে শুরু হওয়া সংঘর্ষ চলে রাত ৯টা পর্যন্ত। প্রথম দফায় পুলিশ সংঘর্ষ ঠেকাতে চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। পরে সেনাবাহিনী ও পুলিশের যৌথ দল পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

পুলিশ ও এলাকাবাসী জানান, উপজেলার মিরপুর ইউনিয়নের বানিয়াগাঁও গ্রামের আকাশের সাথে চারগাঁও গ্রামের একজনের ব্যাটারি কেনা নিয়ে কথাকাটাকাটি হয়। বিষয়টি উভয় গ্রামের লোকজনের মধ্যে জানাজানি হলে দু’ গ্রামের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষ চলাকালে মিরপুর বাজারে কয়েকটি দোকানপাট ভাঙচুর করা হয়। এ সময় মাইকে ঘোষণা দিয়ে উভয়পক্ষ সংঘর্ষে যোগ দিতে আহ্বান জানাতে থাকে। একপর্যায়ে তাদের পক্ষ আশপাশের ১২টি গ্রামের লোকজন লাঠিসোটা নিয়ে সংঘর্ষে যোগ দেয়।

এর মধ্যে বানিয়াগাঁওয়ের পক্ষে আটটি এবং চারগাঁও গ্রামের পক্ষে চারটি গ্রাম সংঘর্ষে জড়ায়। প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে সংঘর্ষ চলতে থাকে। প্রথম দফায় পুলিশ চেষ্টা চালিয়েও তা নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি। খবর পেয়ে সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে যৌথ চেষ্টা চালিয়ে সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণ করে। সংঘর্ষে পুলিশসহ অর্ধশতাধিক লোক আহত হন।

বাহুবল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় তিনজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। ফের সংঘর্ষের শঙ্কায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।’