কক্সবাজার স্টেডিয়ামে তান্ডবের ঘটনায় দু’টি তদন্ত কমিটি গঠন

কক্সবাজারে ডিসি গোল্ড কাপ ফুটবলের ফাইনাল খেলাকে কেন্দ্র করে ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট এবং টিকিট কালোবাজারির ঘটনায় তিন সদস্য বিশিষ্ট পৃথক দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

গোলাম আজম খান, কক্সবাজার অফিস

Location :

Cox's Bazar
কক্সবাজার স্টেডিয়ামে তান্ডবের ঘটনায় দু’টি তদন্ত কমিটি গঠন
কক্সবাজার স্টেডিয়ামে তান্ডবের ঘটনায় দু’টি তদন্ত কমিটি গঠন |নয়া দিগন্ত

কক্সবাজারে ডিসি গোল্ড কাপ ফুটবলের ফাইনাল খেলাকে কেন্দ্র করে ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট এবং টিকিট কালোবাজারির ঘটনায় তিন সদস্য বিশিষ্ট পৃথক দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটি আগামী সাত কর্ম দিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করবেন।

তদন্ত শেষে জানা যাবে কারা এ ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত রয়েছে। ইতোমধ্যে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এ ছাড়াও কক্সবাজার সদর থানায় একটি অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে।

আজ বিকেলে কক্সবাজার বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ রুহুল আমিন স্টেডিয়াম পরিদর্শন করতে এসব কথা বলেন জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ সালাহউদ্দিন। এ সময় কক্সবাজার জেলা পুলিশ সুপার মুহাম্মদ সাইফুদ্দিন শাহিন উপস্থিত ছিলেন।

জেলা প্রশাসক বলেন, গণপূর্তকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে গতকালের ঘটনায় কি পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তার নিরুপণ করতে।

তারুণ্যের উৎসব উপলক্ষে এ টুর্নামেন্টের আয়োজন করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ইতোমধ্যে খুব সুনামের সাথে বেশকিছু ম্যাচ সমাপ্ত হয়েছে। কখনো এ ধরনের ঘটনা ঘটেনি।

কক্সবাজার জেলা পুলিশ সুপার জানান, ৫০ হাজারেরও বেশি লোকের সমাগম হয়েছে খেলায়। হঠাৎ এমন একটি ঘটনা সামাল দিতে তৎক্ষণাৎ প্রস্তুতি ছিলো না পুলিশের। পুলিশের পাশাপাশি র‌্যাব ও আনসার সদস্যরা ছিলেন। ইতোমধ্যে তিন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। এতকিছুর পরও আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ধৈর্যের সাথে ঘটনা সামাল দেয়ার চেষ্টা করেছে। তাদের প্রতি নির্দেশনা ছিলো যাতে কোনো ধরনের প্রাণঘাতির ঘটনা না ঘটে।

এ ঘটনায় উস্কানিদাতা, সুবিধাবাদীদের ভিডিও ফুটেজে শনাক্ত করে সবাইকে কঠোরভাবে আইনের আওতায় আনা হবে। পাশাপাশি টিকিট কেলেঙ্কারির সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এর আগে গতকাল ডিসি গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলার পুর্বে উশৃঙ্খল দর্শকদের তাণ্ডবে পণ্ড হয়ে যায় ফাইনাল খেলা। এ সময় জেলা ক্রীড়া সংস্থার কার্যালয়, গ্যালারিতে ব্যাপক তাণ্ডব চালানো হয়। এ ঘটনায় সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, সাংবাদিকসহ অর্ধশত আহত হয়।