গোপালগঞ্জে জামায়াতের ইউনিট দায়িত্বশীল সম্মেলন

সংস্কারের পর আগে স্থানীয় নির্বাচন চাইলেন মাওলানা রফিকুল ইসলাম

শনিবার (৩১ মে) দুপুরে গোপালগঞ্জে জামায়াতে ইসলামীর ইউনিট দায়িত্বশীল সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ দাবি জানান।

মো: সেলিম রেজা, গোপালগঞ্জ

Location :

Gopalganj
গোপালগঞ্জে জামায়াতের ইউনিট দায়িত্বশীল সম্মেলনে নেতৃবৃন্দ
গোপালগঞ্জে জামায়াতের ইউনিট দায়িত্বশীল সম্মেলনে নেতৃবৃন্দ |নয়া দিগন্ত

প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে আগে স্থানীয় নির্বাচন এবং পরে জাতীয় নির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম। এ সময় তিনি ইসলামী দলগুলো একসাথে নির্বাচনে অংশগ্রহণের আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

শনিবার (৩১ মে) দুপুরে গোপালগঞ্জে জামায়াতে ইসলামীর ইউনিট দায়িত্বশীল সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ দাবি জানান।

মাওলানা রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘হাজার হাজার মানুষের রক্তের বিনিময়ে নতুন বাংলাদেশকে ঢেলে সাজানোর জন্য প্রধান উপদেষ্টা জুন মাসে নির্বাচনের যে ঘোষণা দিয়েছেন তার এক/দুই মাস এদিক-ওদিক হওয়া কোনো বড় ব্যাপার নয়। ব্যাপার হলো সুষ্ঠু নির্বাচন। আওয়ামী লীগ আমলের মতোই যদি নির্বাচন হয় তাহলে বাংলাদের মানুষ কেন রক্ত দিয়েছে? একজনের পরিবর্তে আরেকজনকে ক্ষমতায় বসানোর জন্য মানুষ জীবন দেয় নাই। মানুষ গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য জীবন দিয়েছে। এ জন্য আমরা বলেছি প্রয়োজনীয় সংস্কার করে রোজার আগে অথবা পরে নির্বাচন দেয়ার জন্য।’

প্রতিবেশী দেশ ভারতকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, ‘আপনারা বিবৃতি দিয়েছেন, সবাইকে নিয়ে ডিসেম্বরের ভিতরে নির্বাচনের। এদেশে কখন নির্বাচন হবে এটা আপনাদের কোনো বিষয় নয়, কেন আপনারা কথা বলেন। আপনারা এ দেশের উপর ছড়ি ঘুরিয়ে ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র করেছেন বারবার। বাংলাদেশের মানুষ কোনো ষড়যন্ত্র এবং কোনো দেশের প্রভুত্ব মেনে নেবে না।’

তিনি আরো বলেন, ‘ফ্যাসিবাদী সরকার বিগত ১৬ বছরে সবচেয়ে বেশি জুলম-নির্যাতনের শিকার হয়েছে জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীরা। হাজার হাজার নেতাকর্মীকে ক্রসফায়ারে নামে হত্যা করা হয়েছে। আয়নাঘরে নিয়ে গুম করে খুন করা হয়েছে। তারা চেয়েছিল এদেশ থেকে ইসলামকে নির্মূল করা।’

রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘জুলাই বিপ্লবে ছাত্র-জনতা, কৃষক-শ্রমিক মেহনতী মানুষ, বাংলাদেশের সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ, দল, মত, জাতি, ধর্ম নির্বিশেষে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধের মুখে ফ্যাসিবাদী সরকারের নায়িকা শেখ হাসিনা পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। বাংলাদেশ ফ্যাসিবাদমুক্ত হয়েছে। দেশের মানুষ দ্বিতীয়বার স্বাধীনতা লাভ করেছে, নতুন বাংলাদেশ পেয়েছে।’

জামায়াতে ইসলামী গোপালগঞ্জ জেলা শাখার আমির অধ্যাপক রেজাউল করিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ফরিদপুর জেলা আমির মাওলানা বদরুদ্দীন, সাবেক গোপালগঞ্জ জেলা আমির অ্যাডভোকেট আজমল হোসেন সরদার।

অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সাবেক জেলা আমির অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুল হামীদ, জেলা নায়েবে আমির অধ্যাপক আ: ওয়াহাব মোল্যা, পৌর আমির মাওলানা ইনামুল হক খান, প্রচার সম্পাদক কাজী ইজাহারুল ইসলাম, ফরিদপুরের পৌর আমির এহসানুল মাহাবুব রুবেল প্রমুখ। অনুষ্ঠানটির সঞ্চালনায় ছিলেন গোপালগঞ্জ জেলা জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি আল মাসুদ খান।

জামায়াতে ইসলামী গোপালগঞ্জ জেলা শাখার আয়োজনে অনুষ্ঠিত এ ইউনিট দায়িত্বশীল সম্মেলনে জেলার ৪৫৩টি ইউনিটের সভাপতি ও সেক্রেটারি যোগ দেন।