কোরআন অবমাননার অভিযোগে টিকটকার দম্পতির বিরুদ্ধে মামলা

বিচারক কামরুল হাসান মামলাটি আমলে নিয়ে এজাহার হিসেবে রেকর্ড করার জন্য হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন।

এম এ মজিদ, হবিগঞ্জ
টিকটকার দম্পতি ইব্রাহিম মিয়া ও তার স্ত্রী মুক্তা বেগম
টিকটকার দম্পতি ইব্রাহিম মিয়া ও তার স্ত্রী মুক্তা বেগম |নয়া দিগন্ত

পবিত্র কোরআন অবমাননা করে টিকটক ভিডিও বানানোর অভিযোগে হবিগঞ্জে এক দম্পতির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার হবিগঞ্জের আদালতে অ্যাডভোকেট সেলিম আহমেদ এই মামলা দায়ের করেন। বিচারক কামরুল হাসান মামলাটি আমলে নিয়ে এজাহার হিসেবে রেকর্ড করার জন্য হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন।

এদিকে বাদী পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট এম এ মজিদ।

মামলার বাদী অ্যাডভোকেট সেলিম আহমেদ জানান, ভিডিওতে পবিত্র কোরআনকে অবমাননা করা হয়েছে। ক্ষুব্দ হয়ে অত্র মামলা দায়ের করেছি। বিচারক কামরুল হাসান মামলাটি এফআইআর গন্যে রুজু করতে হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসিকে নির্দেশ দেন।

অভিযুক্ত ইব্রাহিম মিয়া ও তার স্ত্রী মুক্তা বেগম চুনারুঘাট উপজেলার দক্ষিণ ছয়শ্রী গ্রামের বাসিন্দা বলে জানা গেছে।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, টিকটক ভিডিও বানাতে গিয়ে ইব্রাহিম ও মুক্তা পবিত্র কোরআনের সূরা ফাতিহার দু’টি আয়াত বিকৃত করে উপস্থাপন করেছেন। তাদের বিরুদ্ধে ইসলাম ধর্ম অবমাননা, অশালীন কথাবার্তা বলে কন্টেন্ট তৈরি এবং অপ্রাপ্তবয়স্কদের টিকটকে ব্যবহার করার অভিযোগও রয়েছে।

ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা গেছে, জুমার নামাজে যাওয়ার পথে ইব্রাহিম ইচ্ছাকৃতভাবে মুক্তার হাতে থাকা চাল ফেলে দেয়। তখন মুক্তা ব্যঙ্গ করে ‘মালিকি ইয়ামিদ্দিন’ বলে। জবাবে ইব্রাহিমও ব্যঙ্গ করে ‘ইয়া কানাবুদু ওয়া ইয়া কানাস্তাইন’ বলে।

বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট এম এ মজিদ বলেন, ‘চাল ফেলার সাথে কোরআনের কোনো সম্পর্ক না থাকলেও ইব্রাহিম ও মুক্তা ইচ্ছাকৃতভাবে পবিত্র কোরআনকে ব্যঙ্গ করেছেন।’

এ বিষয়ে ইব্রাহিম ও মুক্তার বক্তব্য জানার জন্য তাদের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাদের পাওয়া যায়নি। তারা বর্তমানে আত্মগোপনে রয়েছেন বলে জানা গেছে।