কৃষি ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, ‘ফসলি জমি রক্ষায় খুব দ্রুত কৃষি আইন উন্নয়ন করা হচ্ছে। যাতে কৃষি জমি নষ্ট করে কোনো শিল্পপ্রতিষ্ঠান গড়ে উঠতে না পারে। এ আইন প্রণয়ন করা হলে কৃষি জমি সুরক্ষা হবে। এছাড়া এখন থেকে এলজিইডি বিভাগ কৃষকদের জমির উপর দিয়ে নতুন রাস্তা করলে তার উপযুক্ত মূল্য দিতে হবে। রোডস অ্যান্ড হাইওয়ে জমি নিতে হলে তিনগুণ দাম দিতে হবে।’
বুধবার (২৭ আগস্ট) দুপুর ২টার দিকে মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার ধল্লা ইউনিয়নের মেদুলিয়া গ্রামে ফারমার্স মিনি কোল্ড স্টোর উদ্বোধনকালে স্থানীয় কৃষকদের সাথে মতবিনিময় করতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবেলার সাশ্রয়ী মূল্যে কোল্ড স্টোরেজ প্রযুক্তি সম্প্রসারণের মাধ্যমে কৃষকের আয় বৃদ্ধি প্রকল্পের আওতায় এ স্টোর উদ্বোধন করা হয়।
জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ‘পর্যায়ক্রমে দেশব্যাপী এক শ’ মিনি কোল্ড স্টোর নির্মাণ করা হবে। যাতে কৃষক ও ভোক্তা সাধারণ সুযোগ-সুবিধা পান। কৃষকদের মধ্যস্বত্বভোগীদের থেকে সতর্ক থাকার আহ্বানও রইল।’
কৃষি উপদেষ্টা বলেন, ‘প্রযুক্তি নির্ভর হওয়ায় কৃষকদের কর্মসংস্থান হ্রাস পাচ্ছে। তাদের মধ্যে অনেকটা অলসতা চলে এসেছে। তাই কৃষকদের কর্মসংস্থানের কথা ভেবে সরকার কৃষিকাজে প্রযুক্তির ব্যবহার সমন্বয় করছে।’
এছাড়া কৃষকদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে কৃষি জমির জলাবদ্ধতা ও সিংগাইর-মানিকগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশ ঘেঁষে প্রবাহিত খালটি দূষণ ও দখলমুক্ত করার জন্য জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে নির্দেশ দেন উপদেষ্টা।
এ সময় কৃষকদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- হারুন শেখ, জাহাঙ্গীর আলম, শেখ রায়হান, সাইফুল ইসলাম ও কহিনুর ইসলাম প্রমুখ।
সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- কৃষি অধিদফতরের সচিব এমদাদুল হক, কৃষিসম্প্রসারণ সচিব সাইদুল আনম, পুলিশের ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি রেজাউল করিম মল্লিক, কৃষি বিভাগের পরিচালক ড. মো: এমদাদুল্লাহ মিয়ান, পরিচালক সরেজমিন উইং এমদাদুর রহমান মন্ডল, জেলা প্রশাসক ড: মনোয়ার হোসেন, পুলিশ সুপার ইয়াসমিন আক্তার, জেলা কৃষি অফিসার ড. রবীয়াহ নূর আহমেদ, সিংগাইর উপজেলা নির্বাহী কামরুল হাসান সোহাগ, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো: হাবেল উদ্দিন, কৃষি অফিসার হাবিবুল বাশার চৌধুরী ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৌফিক আজম প্রমুখ।