বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিশে শূরা সদস্য ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ (কসবা-আখাউড়া) আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী মুহাম্মদ আতাউর রহমান সরকার বলেছেন, ‘জামায়াত তরুণ প্রজন্মকে ইনসাফপূর্ণ এক নতুন বাংলাদেশ উপহার দেয়ার জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। তাই আগামী নির্বাচনে সারাদেশে দাঁড়িপাল্লা প্রতীকের প্রার্থীদের বিজয় নিশ্চিত করতে হবে।’
বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) বেলা ৩টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় আড়াউবাড়ী কামিল মাদরাসা মাঠে নির্বাচনী গণমিছিল-পূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আতাউর রহমান সরকার বলেন, ‘আমরা এমন এক ইনসাফপূর্ণ সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে চাই, যে সমাজে ধর্ম, বর্ণ, গোত্র নির্বিশেষে সব শ্রেণি-পেশার মানুষ পূর্ণ সাংবিধানিক ও মৌলিক অধিকার ভোগ করবে। মানুষে মানুষে কোনো ভেদাভেদ থাকবে না।’
তিনি বলেন, ‘আমরা এমন এক শান্তির সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে চাই, যে সমাজে চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, ঘুষ, দুর্নীতি ও লুটপাটসহ কোনো অপরাধ থাকবে না। আমরা নিজেরা দুর্নীতি করবো না এবং অন্যদেরও দুর্নীতি করতে দেবো না। আমরা শাসক হতে চাই না, জনগণের খাদেম হতে চাই।’
তিনি আলো বলেন, ‘অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা ও চিকিৎসা মানুষের মৌলিক অধিকার। সব নাগরিকের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করার দায়িত্ব রাষ্ট্রের। কিন্তু কল্যাণ রাষ্ট্রের অনুপস্থিতির কারণে মানুষ এসব মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত। অতীতের সরকারগুলো জনগণের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার জন্য কার্যকর কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি বরং দেশের স্বাস্থ্য খাতকে দুর্নীতি ও লুটপাটের অভয়ারণ্যে পরিণত করেছিল। ফ্যাসিবাদী আমলে বালিশ ও পর্দা কেলেঙ্কারি দেশের ভয়াবহ দুর্নীতির চিত্রই ফুটিয়ে তোলে। তাই দেশের সব নাগরিকের অধিকার নিশ্চিত করতে দেশকে ইসলামী কল্যাণ রাষ্ট্রে পরিণত করার কোনো বিকল্প নেই।’
তিনি দ্বীন বিজয়ের লক্ষ্যে সবাইকে ময়দানে আপসহীন থাকতে এবং স্বপ্নের বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহ্বান জানান।
উপজেলা আমির অধ্যক্ষ ফরিদ উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি গোলাম সারওয়ারের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন কুমিল্লা অঞ্চলের টিম সদস্য ও সাবেক জেলা আমির অধ্যক্ষ কাজী নজরুল ইসলাম খাদেম, জেলা আমির মাওলানা মোবারক হোসেন আকন্দ, সাবেক নায়েবে আমির কাজী ইয়াকুব আলী, কর্মপরিষদ সদস্য কাজী সিরাজুল ইসলাম, কসবা উপজেলার সাবেক আমির দ্বীন ইসলাম ভুঁইয়া, আখাউড়া উপজেলা আমির ইকবাল হোসেন ভুঁইয়া, কসবা পৌর আমির হারুন অর রশীদ ও নায়েবে আমির শিবলী নোমানী প্রমুখ।
সমাবেশ ও গণমিছিলে অধ্যাপক সাদরুল আলম, কসবা উপজেলা সহকারী সেক্রেটারি এস এম আজাদ মানিক, পৌর সেক্রেটারি নুর মাজিদুল হক, শিবির নেতা তুহিন রেজা, জাহিদ মোল্লাসহ উপজেলা ও জামায়াতের বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী ও সাধারণ জনতা অংশ নেন।
সমাবেশের পর মাদরাসা মাঠ থেকে গণমিছিল শুরু হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে কসবা রেলওয়ে স্টেশনে গিয়ে শেষ হয়।



