ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম বলেছেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীরা সবাই কি বিজয়ীদের দল করে। না? তারা নিরাপত্তার জন্য ভোট দিয়েছে। সেখানে রাম-বামেরা হেরেছে। সেখানে মূলত: ভারতের কবরের বিজয় হয়েছে। রাম-বামেদের পরাজয় হয়েছে।’
শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে স্থানীয় রেলরোড চত্বরে প্রয়োজনীয় রাষ্ট্র সংস্কার, পিআর পদ্ধতিতে সুষ্ঠ নির্বাচন ও বাগেরহাট জেলায় চারটি আসন পুন:বহালের দাবিতে ইসলামী আন্দোলন বাগেরহাট শাখার উদ্যোগে আয়োজিত গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
মুফতী সৈয়দ ফয়জুল করীম বলেন, ‘আগামীতে বাংলাদেশের মানুষ চাঁদাবাজ, গুন্ডা, বদমাশ, ধর্ষকদের ভোট দেবে না, ওদেরকে ভোট দিলে রাস্তায় হাঁটতে পারবেন না। এই দেশের মানুষ ওদের ভোট দিবে এই বিশ্বাস হয় না।’
ইসলামী আন্দোলন বাগেরহাট জেলা সভাপতি মাওলানা মাহফুজুর রহমানের সভাপতিত্বে সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম বলেন, ‘মানুষ ভোট দেয় নিজের নিরাপত্তার জন্য। জান-মাল, ইজ্জতের রক্ষার জন্য জনগণ ভোট দেয়। যাদের কাছে কোনো ক্ষতি হবে না। সুন্দরী মেয়েরা রাস্তায় হাঁটলে ইভটিজিংয়ের শিকার হবে না। ধর্ষিতা হবে না। বাজারে লুটপাট করা হবে না। ব্যবসা বন্ধ করা হবে না। কাদের কাছে নিরাপাদ তা জনগণ জেনে গেছে। তারা জানে ওদের মার্কার মধ্যেই ধোকাবাজী।‘
সমাবেশে বক্ততা করেন, সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী, ইসলামী আন্দোলনের নেতা আলহাজ্ব শেখ আতিয়ার রহমান , সিনিয়র সহ-সভাপতি ফকির শহিদুল ইসলাম, জামায়াতে ইসলামী বাগেরহাটের জেলা আমীর মাও রেজাউল করীম, কেন্দ্রিয় সাংগঠনিক সম্পাদক আলহাজ্ব মুফতি মোস্তফা কামাল, জেলা শাখার উপদেষ্টা মাওলানা ওমর ফারুক নূরী, অধ্যক্ষ শেখ জিল্লুর রহমান, মোল্লা মুজিবর রহমান শামীম, মাওলানা আবুবকর, মাওলানা ফারুক হোসাইন, মাওলানা মোশাররফ হোসেন, মাওলানা শেখ মোহাম্মদ নাসরুল্লাহ, মুফতি নুরুজ্জামান, মুফতী তরিকুল ইসলাম, মাওলানা মাহবুবুর রহমান প্রমূখ নেতৃবৃন্দ।
নায়েবে আমীর আরো বলেন, ‘৫৩ বছরে যাদের কাছে জনগণের জানমালের নিরাপত্তার দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল তারা সেই যোগ্যতার যোগ্য নয়। বিএনপি ১৯৯১ সালে থেকে ২০০৬ সালে দেশকে দূর্নীতিতে ৫ বার চ্যাম্পিয়ন করেছে।’
ইসলামকে একটা বার পরীক্ষা করার আহ্বান জানান তিনি। এই পরীক্ষায় ফেল করলে ২য় বার আপনাদের কাছে আর পরীক্ষার জন্য আসবো না বলে তিনি উল্লেখ করেন। এ সময়ে তিনি বাগেরহাটের চারটি আসন পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে দেয়ার জন্য নির্বাচন কমিশনের নিকট দাবি জানান। পরে প্রধান অতিথি বাগেরহাটের চারটি আসনে ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থীদের পরিচয় করিয়ে দেন।