চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার দৌলতদিয়াড় দক্ষিণপাড়া বারোয়ারী দুর্গা মন্দিরের প্রতিমা ভাঙচুরের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে গুজব তৈরির চেষ্টা করা হয়েছে। তবে ছড়িয়ে দেয়া সেসব ছবি দুই বছর আগের। বাস্তবে এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি বলে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে জানিয়েছে পুলিশ। একই কথা জানিয়েছেন ওই মন্দির কমিটির সভাপতি।
বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যার পর ‘uttam div’ নামে একটি ফেসবুক আইডি থেকে এ গুজব ছড়ানো হয়।
ওই আইডি থেকে প্রতিমার হাত ভাঙা অবস্থার ছবি পোস্ট করে দাবি করা হয়, মন্দিরে প্রতিমা ভাঙচুর হয়েছে। একইসাথে ‘৬৪ জেলা সনাতনী পরিবার’ নামে একটি ফেসবুক গ্রুপেও পোস্টটি শেয়ার করা হয়। পরে মুহূর্তেই বিষয়টি ছড়িয়ে পড়ে।
এদিকে খবর পেয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার ইউএনও এম সাইফুল্লাহ, সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খালেদুর রহমান ও পূজা উদযাপন পরিষদের নেতা হেমন্ত কুমার সিংহ রায় দ্রুত ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। সেখানে গিয়ে তারা দেখেন, মন্দিরে ভাঙচুরের কোনো ঘটনা ঘটেনি। এ সময় তারা গুজব ছড়ানোদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে মন্দির কর্তৃপক্ষকে আশ্বস্ত করেন।
এ বিষয়ে মন্দির কমিটির সভাপতি শ্রী সঞ্জয় কুমার সাধুখা বলেন, ‘আমাদের মন্দিরে কোনো প্রতিমা ভাঙচুর হয়নি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যে ছবি ছড়ানো হয়েছে তা দুই বছর আগের। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে তখন এ ধরনের ঘটনা ঘটেছিল। সেই ছবি ব্যবহার করে এখন অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরির চেষ্টা চলছে। আমরা গুজবকারীদের দ্রুত শনাক্ত ও আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।’
তিনি আরো জানান, ‘গুজব ছড়িয়ে পড়ার পরপরই প্রশাসন ও পূজা উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। বর্তমানে মন্দির নিরাপদ রয়েছে।’
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এম সাইফুল্লাহ বলেন, ‘পুরনো ছবি ব্যবহার করে ফেসবুকে গুজব ছড়ানো হয়েছে। আমরা দ্রুত মন্দির পরিদর্শন করেছি ও নিরাপত্তা জোরদার করেছি। তৃতীয় পক্ষ যাতে সুযোগ নিতে না পারে সেই বিষয়ে আমরা সতর্ক আছি।’
চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার খন্দকার গোলাম মওলা বলেন, ‘গুজব ছড়িয়ে কেউ যেন পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করতে না পারে সেজন্য সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে। একইসাথে সবাইকে বিভ্রান্তিকর তথ্য থেকে দূরে থাকার আহ্বান জানাচ্ছি।’