‘জনগণ নির্বাচনমুখী, কেউ ঠেকাতে পারবে না’ বলে মন্তব্য করেছেন পুলিশের আইজিপি বাহারুল আলম বিপিএম। এ সময় পুলিশের বিতর্কিত কাউকে আগামী নির্বাচনে কমান্ডিং পজিশনে দেয়া হবে না বলেও প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন তিনি।
শনিবার খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ লাইনে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে গণমাধ্যম কর্মীদের সাথে মতবিনিময়কালে এসব বলেন আইজিপি। এর আগে তিনি আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করার জন্য পুলিশের অভ্যন্তরীণ প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে যোগ দেন।
আইজিপি বাহারুল আলম বিপিএম বলেন, আসন্ন নির্বাচন অনেক গুরুত্বপূর্ণ। জনগন এখন নির্বাচনমুখী। এটাই বড় শক্তি। এই নির্বাচন কেউ ঠেকাতে পারবে না। এই নির্বাচনকে ফ্রি ফেয়ার, ক্রেডিবেল ও উৎসবমুখর করার জন্য আমাদের দায়িত্বটা সবচেয়ে বেশি। সেজন্য আমরা নিজেরা প্রশিক্ষিত হচ্ছি। সবকিছু ঝেড়ে ফেলে এই সরকারের যে অঙ্গীকার, তা বাস্তবায়নে আমরা বদ্ধপরিকর।
তিনি আরো বলেন, পুলিশের বিতর্কিত কাউকে আগামী নির্বাচনে কমান্ডিং পজিশনে দেয়া হবে না। এখনো বিতর্কিতদের তালিকা করা হয়নি। তবে বিগত সময়ের বিতর্কিতদের সংশ্লিষ্ট জেলার এসপি ও ডিআইজি চিহ্নিত করবেন।
পুলিশের আইজিপি বলেন, বিগত ১৪, ১৮ এবং ২৪ সালের নির্বাচন নিয়ে নানান বিতর্ক আছে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমরাও ওই সমালোচনার শিকার ও অংশীদার। কারণ আমরা তিনটি নির্বাচনেই অংশগ্রহণ করেছি। আমরা যেসব ভুল করেছি, অথবা করতে বাধ্য হয়েছি, সেগুলো যেন আর না করি, ওই ভুলগুলো যেন শুধরাতে পারি, সেজন্য আমাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব ভালোভাবে পালন করব।
তিনি আরো বলেন, আমি আমার ৩৫ বছরের পুলিশি জীবনে নির্বাচনী দায়িত্ব পালনের জন্য পুলিশকে প্রশিক্ষণ নিতে শুনিনি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করা ও অপরাধ দমন করা আমাদের ম্যান্ডেডেট কাজ।
এক প্রশ্নের জবাবে আইজিপি বলেন, আমরা ক্রসফায়ার দিয়ে সন্ত্রাস দমন করতে চাই না। অপরাধীকে আদালতে প্রেরণ করে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠাই বর্তমান পুলিশের লক্ষ্য।
আগামী নির্বাচনে সাইবার সন্ত্রাস প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এই জায়গায় আমরা দুর্বল। কিছু ব্যক্তি মতপ্রকাশের স্বাধীনতার নামে সোস্যাল মিডিয়ায় এআই দিয়ে যা ইচ্ছা তা-ই পোস্ট করছে।
এ সময় খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার জুলফিকার আলী হায়দার, খুলনা রেঞ্জ ডিআইজি মো: রেজউল করিমসহ খুলনা বিভাগের পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।



