বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) হল ছাড়ার নির্দেশনা প্রত্যাখ্যান করে দ্বিতীয় দিনের মতো আবারো ৬ দফা দাবিতে রেলপথ অবরোধ করে আন্দোলন করছে শিক্ষার্থীরা। এতে ঢাকা-ময়মনসিংহ রুটে ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে।
মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে জব্বারের মোড় রেলপথ অবরোধ করে শিক্ষার্থীরা।
পশুপালন অনুষদের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী এ এইচ এম হিমেল বলেন, সোমবার সকালে আমরা ৬ দফার আলটিমেটাম দিয়েছিলাম। এখন পর্যন্ত প্রশাসনের কোনো সাড়া নেই। তাই বাধ্য হয়ে দাবি আদায়ে রেলপথ অবরোধ করেছি। প্রশাসন এসে আশ্বস্ত করলেই আমরা অবরোধ তুলে নেব।
আরেক শিক্ষার্থী ফৌজিয়া নাজনীন বলেন, দাবি আদায়ে আন্দোলন করতে হয় এটা বাংলাদেশের কালচার। কিন্তু দাবি আদায়ের আন্দোলনে বহিরাগতদের দিয়ে হামলা করানো কতটা যৌক্তিক। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলছে চলবেই।
পরিস্থিতি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. এ কে এম ফজলুল হক ভূঁইয়া বলেন, শিক্ষার্থীদের দাবি দাওয়া নিয়ে এককভাবে আমার কিছু করার নেই। একাডেমিক কাউন্সিলের জরুরি সভায় সুন্দর সিদ্ধান্ত হয়েছিল কিন্তু শিক্ষার্থীরা তা না মেনে বিপথে হেঁটেছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে হল ছাড়ার নির্দেশনা না মেনে তারা আন্দোলন করছে। বিষয়টি এখনো আমার নিয়ন্ত্রণে নেই। জেলা প্রশাসক যা ভালো মনে করবেন তাই হবে।
এর আগে গত রোববার (৩১ আগস্ট) ভেটেরিনারি অনুষদ এবং পশুপালন অনুষদের ডিগ্রিকে একীভূত করে একটি কম্বাইন্ড ডিগ্রি দেয়ার দাবিতে ২৫১ জন শিক্ষক কর্মকর্তাকে দিনভর অবরুদ্ধ করে রাখার ঘটনায় বহিরাগতরা হামলা করে শিক্ষার্থীদের ওপর। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে রোববার রাতে অনির্দিষ্টকালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়। একই সাথে ছাত্র-ছাত্রীদের সোমবার সকাল ৯টার মধ্যে হল ত্যাগেরও নির্দেশ প্রদান করা হয়।
শিক্ষার্থীদের ৬ দফা দাবিগুলো হলো- অবিলম্বে হল ছাড়ার নির্দেশনা প্রত্যাহার করতে হবে এবং হলগুলোতে সব ধরনের সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সম্পূর্ণ প্রক্টোরিয়াল বডিকে পদত্যাগ করতে হবে, শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় ভিসিকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে, হামলায় জড়িত শিক্ষক আসাদুজ্জামান সরকার, তোফাজ্জল, শরীফ, রাফি, বজলুর রহমান মোল্লা, মনির, আশিকুর রহমান, কামরুজ্জামান এবং বহিরাগত সন্ত্রাসীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে, কম্বাইন্ড ডিগ্রি অবিলম্বে প্রদান করতে হবে।