মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলায় মাত্র ৩০ মিনিটের ব্যবধানে অজ্ঞাত পরিচয় নারী ও পুরুষের দু’টি লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শনিবার (৬ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলার হোসেন্দী ও বাউশিয়া ইউনিয়নের নদীর তীরবর্তী দু’টি আলাদা স্থান থেকে লাশ দু’টি উদ্ধার করা হয়।
জানা যায়, প্রথম লাশটি উদ্ধার করা হয় দুপুর ১টার দিকে হোসেন্দী ইউনিয়নের ডুবুরচর এলাকা থেকে। সিটি গ্রুপের পাশে মেঘনা নদীর তীরে অজ্ঞাত পরিচয়ের এক নারীর লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা নৌ-পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে গজারিয়া নৌ-পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে।
এর মাত্র ৩০ মিনিট পর দুপুর দেড়টার দিকে বাউশিয়া ইউনিয়নের কাজলী নদীর দাসকান্দী এলাকা থেকে অজ্ঞাত পরিচয় এক পুরুষের লাশ উদ্ধার করে গজারিয়া থানা পুলিশ ও নৌ-পুলিশ। নদীর তীরের ঝোপঝাড়ে লাশটি পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয়।
পুলিশের ধারণা, লাশ দু’টি ভেসে আসতে পারে। তবে লাশ দু’টির মধ্যে কোনো সম্পর্ক আছে কি-না এবং মৃত্যুর কারণ কী তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
গজারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার আলম আজাদ বলেন, ‘অত্যন্ত স্বল্প সময়ের ব্যবধানে নারী ও পুরুষের দু’টি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। দু’জনেরই পরিচয় এখনো পাওয়া যায়নি। পিবিআইকে জানানো হয়েছে, পরিচয় শনাক্তের কাজ চলছে। ঘটনাস্থলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা কাজ করছে।’
গজারিয়া নৌ-পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শরজিৎ কুমার ঘোষ বলেন, ‘ডুবুরচর এলাকার মেঘনা নদী থেকে স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে এক নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, লাশটি নদীতে ভেসে এসেছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত কিছু বলা যাচ্ছে না।’
দু’টি ভিন্ন স্থানে স্বল্প সময়ের ব্যবধানে লাশ উদ্ধারের ঘটনায় স্থানীয়দের মাঝে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। কেউ কেউ সন্দেহ প্রকাশ করছেন, দু’টি ঘটনার মধ্যে কোনো যোগসূত্র থাকতে পারে। আবার অনেকে ধারণা করছেন, নদীপথে দুর্ঘটনার শিকার হয়ে লাশ ভেসে আসতে পারে।
পুলিশ জানিয়েছে, দু’টি লাশই ময়নাতদন্তের জন্য মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়া গেলে মৃত্যুর কারণ জানা সম্ভব হবে।
পুলিশ আরো জানায়, পরিচয় মিললেই লাশ হস্তান্তর ও পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।



