সিলেটে দিশারী শিল্পীগোষ্ঠীর ব্যতিক্রমী আয়োজন ‘রক্ত জাগরণ’

জুলাই বিপ্লব তরুণ প্রজন্মের বিস্ময়কর আবিষ্কার। জুলুম ও ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতার বিজয় শুধু বাংলাদেশ নয়, বিশ্বে নজির স্থাপন করেছে। শহীদ ও আহতরা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান।

সিলেট ব্যুরো

Location :

Sylhet
দিশারী শিল্পীগোষ্ঠীর ব্যতিক্রমী আয়োজন ‘রক্ত জাগরণ’
দিশারী শিল্পীগোষ্ঠীর ব্যতিক্রমী আয়োজন ‘রক্ত জাগরণ’ |নয়া দিগন্ত

রক্তস্নাত জুলাই বিপ্লবের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে সিলেটে ব্যতিক্রমী আয়োজন করেছে সুস্থ সংস্কৃতির বিকাশে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ সংগঠন দিশারী শিল্পীগোষ্ঠী।

শুক্রবার (২৯ আগস্ট) সিলেট নগরীর শাহী ঈদগাহস্থ জেলা শিল্পকলা একাডেমি অডিটরিয়ামে দিনব্যাপী ‘জুলাই প্রদর্শনী’ শেষে সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত হয় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

এদিন বাদ জুমআ প্রদর্শনীর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন দিশারী শিল্পীগোষ্ঠীর চেয়ারম্যান শাহীন আহমেদ। প্রদর্শনীতে স্থান পায় আলোচিত ‘হাউন আঙ্কেলের ভাতের হোটেল’ রেপ্লিকা, শহীদ সাংবাদিক এটিএম তুরাব, শহীদ রুদ্র সেনসহ জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের সিলেট অঞ্চলের নানা দৃশ্য। প্রদর্শনীতে তুলে ধরা হয় আখালিয়া এলাকার এক নারীর ক্ষোভের বক্তব্য এবং সুনামগঞ্জে পুলিশ ও সন্ত্রাসীদের হামলার দুর্বিষহ স্থিরচিত্র।

এছাড়া সন্ধ্যায় শুরু হয় আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। দিশারী শিল্পীগোষ্ঠীর পরিচালক আব্দুল হাদী চৌধুরী, সহকারী পরিচালক হাদি উন নাহিয়ান চৌধুরী ও মাসিহুর রহমান নাফির যৌথ ব্যবস্থাপনায় এবং সাবেক শিল্পী শাহনেওয়াজ চৌধুরী রাজিবের উপস্থাপনায় পবিত্র কুরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়। তেলাওয়াত করেন হাফেজ রাশেদ ইকবাল।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন লিডিং ইউনিভার্সিটির ভিসি প্রফেসর ড. মো: তাজ উদ্দিন। প্রধান বক্তা ছিলেন সমন্বিত সাংস্কৃতিক সংসদ সসাস-এর নির্বাহী পরিচালক এইচ এম আবু মুসা। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন শহীদ সাংবাদিক এটিএম তুরাবের বড় ভাই আবুল আহসান মো: আজরফ জাবুর। সমাপনী বক্তব্য রাখেন দিশারী শিল্পীগোষ্ঠীর চেয়ারম্যান শাহীন আহমেদ।

সাংস্কৃতিক পরিবেশনায় অংশ নেয় দিশারীর শিশু বিভাগ, সংগীত বিভাগ ও সাবেক শিল্পীরা। পরিবেশিত সংগীতের মধ্যে ছিল ‘বিসমিল্লাহ বলে আমি শুরু করি দিন-প্রতিদিন’, ‘সততার গুণে যারা গুণী হয়’, ‘বৈরী বাতাসে’, ‘আমাদের শহীদেরা’ এবং ‘আল্লাহকে যারা ভেসেছে ভালো’। একক সংগীত পরিবেশন করেন হিফজুর রহমান, তাওহীদুল ইসলাম তারেক ও রাশেদুল হাসান রাসেল। আবৃত্তি করেন হাদি উন নাহিয়ান।

দর্শকদের আনন্দ দেয় দিশারীর মঞ্চ নাটক ‘শিশু বিশেষজ্ঞ’ ও ‘আক্কাস এখন ঝাক্কাস’।

বক্তারা বলেন, জুলাই বিপ্লব তরুণ প্রজন্মের বিস্ময়কর আবিষ্কার। জুলুম ও ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতার বিজয় শুধু বাংলাদেশ নয়, বিশ্বে নজির স্থাপন করেছে। শহীদ ও আহতরা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। দিশারীর এই আয়োজন একটি মাইলফলক, যার ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে হবে। সুস্থ সংস্কৃতির বিকাশে দিশারীর পথচলা আরো শানিত হবে।