গাজীপুর মহানগরের টঙ্গী গাজীবাড়ি (পুকুরপাড়) এলাকার ভাড়া বাসা থেকে সোমবার (১৯ মে) হাত-পা-মুখ বাঁধা অবস্থায় প্রতিবন্ধী নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বাড়ির মালিক গোলাম মোস্তফাকে আটক করা হয়েছে।
নিহত রাবেয়া সাবরিন লিখন (২৮) পিরোজপুর জেলার ভান্ডারিয়া উপজেলার উত্তর পটখালী গ্রামের সেলিম হাওলাদারের মেয়ে। তিনি গাজীবাড়ি (পুকুরপাড়) এলাকার গোলাম মোস্তফার বাড়িতে ভাড়া থেকে টঙ্গীর শারীরিক প্রতিবন্ধী সুরক্ষা ট্রাগ্রো (মৈত্রী শিল্প) কম্পিউটার অপারেটর পদে চাকরি করতেন।
এ ব্যাপারে টঙ্গী পূর্ব থানার এসআই আবুল হোসেন বলেন, ‘প্রায় এক বছর আগে গোলাম মোস্তফার বাড়ির দ্বিতীয় তলার একটি কক্ষ ভাড়া নেয় সাবরিন লিখন। ওই কক্ষে মা রাজিয়া বেগমকে নিয়ে বসবাস করতে থাকেন। রোববার রাতে লিখন একাই বাসায় ছিলেন। সকাল ৯টার দিকে পাশের ভাড়াটিয়ারা লিখনের কক্ষের দরজা বাহির থেকে আটকানো দেখতে পান। পরে দরজা খুলে ওড়না এবং গামছা দিয়ে হাত-পা-মুখ বাঁধা অবস্থায় বিছানার ওপর লিখনের লাশ দেখতে পান। খবর পেয়ে পুলিশ দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে।’
টঙ্গীর শারীরিক প্রতিবন্ধী সুরক্ষা ট্রাগ্রো (মৈত্রী শিল্প) ম্যানেজার মহসিন আলী বলেন, ‘লিখন মৈত্রী শিল্পে কম্পিউটার অপারেটর পদে চাকরি করতেন। তিনি তৃতীয় শ্রেণীর একজন কর্মচারী।’
এ ব্যাপারে টঙ্গী পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফরিদুল ইসলাম বলেন, ‘প্রাথমিক সুরতহালে লাশে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। ধর্ষণের আলামত পাওয়া যায়নি। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, হাত-পা-মুখ বেঁধে তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘প্রতিবেশী ভাড়াটিয়ারা জানিয়েছে ওই বাড়িতে একটি সিসিটিভি ক্যামেরা ছিল যা আজই খুলে ফেলা হয়েছে। সিসিটিভি ক্যামেরাটি উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।’