সিলেটে দুদকের ১৯১তম গণশুনানি অনুষ্ঠিত

গণশুনানির উদ্দেশ্য হচ্ছে সরকারি সেবাদাতা ও সেবাগ্রহীতার মধ্যে যোগসূত্র তৈরি করা।

আবদুল কাদের তাপাদার, সিলেট ব্যুরো

Location :

Sylhet
সিলেটে দুদক চেয়ারম্যান।
সিলেটে দুদক চেয়ারম্যান। |নয়া দিগন্ত

সিলেটে ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে তারুণ্যের একতা, গড়বে আগামীর শুদ্ধতা’ স্লোগানে জনসচেতনতা বৃদ্ধি, সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত দফতর-সংস্থাসমূহে সেবার মান বৃদ্ধি, সেবাগ্রহীতাদের হয়রানি রোধ এবং দুর্নীতি প্রতিরোধের লক্ষ্যে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) -এর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের আয়োজনে ১৯১তম গণশুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রোববার (২৩ নভেম্বর) জেলার রিকাবিবাজারস্থ কবি নজরুল অডিটোরিয়ামে এ শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।

গণশুনানিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে দুদকের চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেন বলেন, ‘৫ আগস্টের পর সবাই নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখছে। নতুন বাংলাদেশ নিয়ে মানুষের প্রত্যাশা ও জনআকাঙ্ক্ষা পূরণ করতে না পারলে তা হবে চরম ব্যর্থতা ও জাতির সাথে প্রতারণা। তাই দুর্নীতিকে রুখে দিয়ে দেশকে নতুনভাবে গড়ে তুলতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘এ আয়োজন কারোর বিরুদ্ধে নয়। গণশুনানির উদ্দেশ্য হচ্ছে সরকারি সেবাদাতা ও সেবাগ্রহীতার মধ্যে যোগসূত্র তৈরি করা।’

সেবা প্রদানকারী দফতরগুলো সেবাগ্রহীতাদের যথাযথভাবে সরকারি সেবা পৌঁছে দিবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

গণশুনানিতে ৪০ টি সরকারি দফতরের বিরুদ্ধে সেবাপ্রাপ্তিতে হয়রানির শিকার বা সেবাবঞ্চিত সংক্ষুব্ধ জনসাধারণ সংশ্লিষ্ট দফতর প্রধানদের উপস্থিতিতে তাদের অভিযোগ কমিশনের সামনে তুলে ধরেন। জনসাধরণের উত্থাপিত অভিযোগের বিষয়ে দুদক কর্তৃক তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন।

গণশুনানিতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দুদকের কমিশনার (তদন্ত) মিঞা মুহাম্মদ আলি আকবার আজিজী, সচিব মোহাম্মদ খালেদ রহীম, সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার খান মো: রেজা-উন-নবী, সিলেটের ডিআইজি মো: মুশফেকুর রহমান, দুদকের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো: আক্তার হোসেন, সিলেটের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মু: মাসুদ রানা ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান।

এ সময় মডারেটরের দায়িত্ব পালন ও সভাপতিত্ব করেন সিলেটের জেলা প্রশাসক মো: সারওয়ার আলম।