ঝিনাইগাতীতে ব্যাপ্টিস্ট চার্চের সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে বনভূমি জবরদখলের অভিযোগ

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকায় সেখানের সংঘর্ষ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনতে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থল ত্যাগ করা হয়। তাদের জবরদখলকৃত ওই বনভূমিতে কোনো শতবর্ষী ফলজ গাছের অস্তিত্ব নেই।

Location :

Jhenaigati
ঝিনাইগাতীতে ব্যাপ্টিস্ট চার্চের সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে বনভূমি জবরদখলের অভিযোগ
ঝিনাইগাতীতে ব্যাপ্টিস্ট চার্চের সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে বনভূমি জবরদখলের অভিযোগ |নয়া দিগন্ত

ঝিনাইগাতী (শেরপুর) সংবাদদাতা

শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার গজনী বিট এলাকায় সরকারি বনভূমিতে, ব্যাপ্টিস্ট চার্চের একটি নতুন সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে বনভূমি জবরদখলকে কেন্দ্র করে চরম উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে।

জানা গেছে, ময়মনসিংহ বিভাগের রাংটিয়া রেঞ্জ আওতাধীন গজনী বিটে বনভূমির ওপর নতুন করে, ‘গজনী ব্যাপ্টিস্ট মন্ডলী ফলের বাগান’ নামে একটি সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে অবৈধভাবে প্রায় ৩৫-৪০ শতাংশ বনভুমি জবরদখল করে। পরবর্তীতে বনবিভাগের ওই জমিতে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতে স্থানীয় গারো সম্প্রদায় কর্তৃক বাধা দেয়ায় পরিস্থিতি জটিল আকার ধারণ করে।

রাংটিয়া রেঞ্জ সূত্রে জানা যায়, গত ৮ আগস্ট বন সংরক্ষক (কেন্দ্রীয় অঞ্চল) এ এস এম জহির উদ্দিন আকন, গজনী বিটের প্রাকৃতিক বনাঞ্চল ও সৃজিত বাগান পরিদর্শন করেন। তিনি ফেরার পথে দেখতে পান ব্যাপ্টিস্ট চার্চের ঝুলিয়ে রাখা একটি সাইনবোর্ড। ওই সময় বনভূমিটি সরজমিনে পরিদর্শন করে জানতে পারেন ওই বনভুমিতে পাকিস্তান আমলে বিট কর্মকর্তার কার্যালয় ছিল।

২ নম্বর খতিয়ানভুক্ত ২০ ধারা সংরক্ষিত ওই বনভুমি, গজনী মৌজার বিআরএস দাগ নম্বর ৩১৭ এর প্রায় ৩৫–৪০ শতাংশ বনভূমি দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে দখলে থাকায় ওই বনভূমিতে বৃক্ষরোপণের নির্দেশ দেন। পরবর্তীতে তার নির্দেশনা অনুযায়ী গত ১১ আগস্ট দুপুরে রাংটিয়া রেঞ্জ এর গজনী বিট কর্মকর্তা ও তাওয়াকুচা বিট কর্মকর্তাসহ সকল স্টাফ ওই বনভূমিতে চারা রোপণ করতে গেলে স্থানীয় গারো সম্প্রদায়ের প্রায় ৮০–৯০ জন নারী-পুরুষ সম্মিলিত লোকজন এসে বাধা দেয়। এছাড়াও অকট্য ভাষায় তারা গালিগালাজ করতে থাকে।

এ ব্যাপারে রাংটিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা মো: আব্দুল করিম জানান- ২ নম্বর খতিয়ানভুক্ত ২০ ধারা সংরক্ষিত, ওই বনভুমি, গজনী মৌজার বিআরএস দাগ নম্বর ৩১৭ এর প্রায় ৩৫–৪০ শতাংশ বনভূমি জবরদখলীয় জায়গায় উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশক্রমে সেখানে বৃক্ষরোপণ করতে গেলে তারা ৮০-৯০ জন নারী-পুরুষ সম্মিলিতভাবে বাধা দেন ও আমাদের উদ্দেশ্য করে অকট্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে।

তিনি আরো জানান, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকায় সেখানের সংঘর্ষ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনতে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থল ত্যাগ করা হয়। তাদের জবরদখলকৃত ওই বনভূমিতে কোনো শতবর্ষী ফলজ গাছের অস্তিত্ব নেই। এরপর থেকে বনবিভাগের বিরুদ্ধে মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন অপপ্রচার মূলক গুজব ছড়ানো হচ্ছে।