সিরাজগঞ্জে যুবলীগ নেতা মোস্তফা হত্যা মামলায় ১ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৪ জনের যাবজ্জীবন

নিহত গোলাম মোস্তফা সিরাজগঞ্জ পৌর এলাকার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের যুবলীগের সভাপতি ছিলেন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত তারিকুল নিহত যুবলীগ নেতা মোস্তফার ভাতিজা এবং যাবজ্জীবন প্রাপ্ত অন্যরা আওয়ামী লীগের কর্মী-সমর্থক ছিলেন।

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি

Location :

Sirajgonj
সিরাজগঞ্জে যুবলীগ নেতা মোস্তফা হত্যা মামলায় ১ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৪ জনের যাবজ্জীবন
সিরাজগঞ্জে যুবলীগ নেতা মোস্তফা হত্যা মামলায় ১ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৪ জনের যাবজ্জীবন |নয়া দিগন্ত

সিরাজগঞ্জ পৌর এলাকার ৭ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি গোলাম মোস্তফা হত্যা মামলায় একজনের মৃত্যুদণ্ড ও চারজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সাথে প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড ও অনাদায়ে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।

সোমবার (২৩ জুন) দুপুরে সিরাজগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-৩ এর বিচারক মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান এ রায় দেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত তারেকুল ইসলাম তারেক সিরাজগঞ্জ পৌর এলাকার রানীগ্রাম মহল্লার আব্দুস সামাদের ছেলে।

যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তরা একই মহল্লার মরহুম কাশেম আলীর ছেলে সেলিম রেজা ও বাদল সেখ, আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে নজরুল ইসলাম ও সাইফুল ইসলামের ছেলে সাইদুল ইসলাম খান।

অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-৩ এর অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর হামিদুল ইসলাম দুলাল বলেন, ‘মামলার ১৮ জন আসামির মধ্যে একজনকে মৃত্যুদণ্ড ও চার জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় ১৩ জনকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়েছে।

মামলার অভিযোগ পত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, নিহত গোলাম মোস্তফার সাথে আসামিদের সামাজিক, ব্যবসায়ীক ও বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিরোধ চলে আসছিলো। এরই জেরে ২০১৮ সালের ৩ অক্টোবর গোলাম মোস্তফা ফজরের নামাজ শেষে বাড়ি ফিরছিলেন।

এ সময় আসামিরা তাকে কুপিয়ে হত্যা করে। এঘটনায় নিহতের স্ত্রী শিখা খাতুন ২০ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ২০-২৫ জনকে আসামি করে সিরাজগঞ্জ সদর থানায় মামলা করেন। মামলার তদন্ত শেষে ১৮ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে পুলিশ। মামলা চলাকালে ১৮ জনের স্বাক্ষ্য গ্রহণ করেন আদালত। স্বাক্ষ্য প্রমাণ শেষে আদালত একজনের মৃত্যুদণ্ড ও চারজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করেন।

নিহত গোলাম মোস্তফা সিরাজগঞ্জ পৌর এলাকার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের যুবলীগের সভাপতি ছিলেন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত তারিকুল নিহত যুবলীগ নেতা মোস্তফার ভাতিজা এবং যাবজ্জীবন প্রাপ্ত অন্যরা আওয়ামী লীগের কর্মী-সমর্থক ছিলেন।