দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মনোনীত ফেনী-৩, সোনাগাজী-দাগনভুঞা আসনের প্রার্থী এবং সাবেক ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি ডা: ফখরুদ্দিন মানিক বলেছেন, ‘ফেনী-৩ আসনের জনগণ নিজেদের ভাগ্য উন্নয়নে দাঁড়িপাল্লাকে বিজয় করবে। ইনশাআল্লাহ।’
মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) রাজধানী ঢাকার এক অভিজাত হোটেলে ডাক্তার ফখরুদ্দিন মানিকের আহ্বানে সাড়া দিয়ে সোনাগাজী-দাগনভুঞার বিশিষ্ট ব্যাক্তিদের নিয়ে মতবিনিময় সভায় ওই সব কথা বলেন তিনি।
বাংলাদেশ সরকারের সাবেক সচিব দৈনিক নয়া দিগন্তের ব্যবস্হাপনা পরিচালক ড. মুহাম্মাদ নুরুল আমিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় আরো বক্তব্য রাখেন- ফেনী ২ সদর আসনের প্রার্থী অধ্যাপক লিয়াকত আলী ভূঁইয়া, ঢাকা-৯ আসনের প্রার্থী শ্রমিক নেতা কবির আহমাদ, দৈনিক নয়া দিগন্তের সাহিত্য সম্পাদক কবি জাকির আবু জাফর, সাবেক সচিব মাহবুবুল হক ও খোরশেদ আলম, তানজিমুল উম্মাহ ফাউন্ডেশনের ভাইস চেয়ারম্যান ড. আবদুল্লাহ আল মামুন, ফেনী বড় মসজিদের খতিব মাওলানা সাইফুল্লাহ।
সভায় বিশিষ্ট ব্যবসায়ী নেতা ও জুলাই যোদ্ধা মেসবাহউদ্দিন সাঈদ, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব মকবুল আহমাদ, রিহ্যাবের পরিচালক ড. হারুনর রশীদ, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী এম ছাখাওয়াত হোছাইন ও ইবরাহীম বাহারীসহ অনেক সরকারি বেসরকারি কর্মকর্তা, শিল্পপতি, ব্যবসায়ী, সাংবাদিক, কবি, সাহিত্যিক ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের উদ্দেশ্যে ডা: মানিক বলেন, দাগনভূঁঞা-সোনাগাজী উপজেলা এক অবহেলিত জনপদের নাম। এই মাটি অনেক সূর্য সন্তান জন্ম গ্রহণ জাতীয় পর্যায়ে অনেক ভূমিকা রেখেছেন কিন্তু নিজ জন্মভূমির প্রতি সুবিচার করতে পারেন নি। জনগণের সাথে ছিলেন তারা সম্পর্কহীন। আমরা মানুষের সাথে থেকে কাজ করতে চাই। ২০১০ সাল থেকে ফ্যাসিবাদের মামলার হুলিয়া মাথায় নিয়ে একদিকে রাজপথে স্বৈরাচার পতনের আন্দোলন করেছি অন্যদিকে দাগনভূঁঞা-সোনাগাজী উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে মানুষের সুখ দুঃখের অংশীদার হয়েছি। মানুষের জন্য কাজ করতে টাকার প্রয়োজন নেই, স্বদিচ্ছা সততা আর আমানতদারিতা থাকলে ফান্ড স্বয়ংক্রিয়ভাবে ব্যাবস্থা হয়ে যায়। দেশে প্রবাসে অসংখ্য মানুষ জন্মভূমির প্রতি দায়বদ্ধতা থেকে কাজ করতে চান কিন্তু বিশ্বস্ততা ও আমানতদারিতার অভাবে তারা ভরসা পান না। আমার সামর্থ্য সীমিত হলেও বিভিন্ন ব্যক্তি, দাতা সংস্থা এবং আমার দলের সহযোগিতায় শুধুমাত্র গতবছরের বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ফেনীবাসীর সাহায্যে প্রায় ১০ কোটিরও বেশি টাকা খরচ করেছি। ৪ শত অধিক গৃহ নির্মাণে সহায়তা করেছি। এ ছাড়াও শতশত টিউবওয়েল স্থাপন, গরীবদের মাঝে সেলাই মেশিন ও ভ্যান গাড়ি বিতরণ করেছি।
আমি বয়সে যুবক, আমি কখনো ক্লান্ত হই না। আমি এশিয়া মহাদেশের সর্ববৃহৎ ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতির মত পদে নেতৃত্ব দিতে গিয়ে আমার যে বিশাল অভিজ্ঞতা ও নেটওয়ার্ক অর্জিত হয়েছে তার সবটুকু দিয়ে আমি ফেনীর মাটি ও মানুষকে আলোকিত করতে চাই।



