ময়মনসিংহে শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনায় ছাত্রশিবির সেক্রেটারি জেনারেল

১৬ বছরে ২১৬ বিলিয়ন ডলার টাকা পাচার করেছে আওয়ামী লীগ

মহানগর ছাত্রশিবিরের উদ্যোগে অনুষ্ঠানে ময়মনসিংহ থেকে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত প্রায় ১ হাজার শিক্ষার্থীকে সংবর্ধনা দেয়া হয়।

ময়মনসিংহ অফিস

Location :

Mymensingh
ময়মনসিংহে শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনায় ছাত্রশিবির সেক্রেটারি জেনারেল
ময়মনসিংহে শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনায় ছাত্রশিবির সেক্রেটারি জেনারেল |নয়া দিগন্ত

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি জেনারেল নুরুল ইসলাম সাদ্দাম বলেছেন, ‘গত ১৬ বছরে ২১৬ বিলিয়ন ডলার পাচার করেছে আওয়ামী লীগ। এটা অনেক মেধার ব্যাপার। এ মেধায় জড়িত ছিল সচিবালয়ের সিনিয়র সচিবরা, জয়েন্ট সেক্রেটারিরা, অনেক আর্মি পারসন, ডিসি, এসপি এমনকি প্রধান বিচারপতি থেকে শুরু করে অ্যাফিলেট ডিভিশন, হাইকোর্ট ডিভিশনের বিচারপতিরাও জুডিশিয়াল ক্যু’র সাথে জড়িত ছিল।’

শুক্রবার (১৫ আগস্ট) সকালে ময়মনসিংহ নগরীর টাউন হল তারেক স্মৃতি অডিটোরিয়ামে এসএসসি, দাখিল ও সমমান পরীক্ষায় জিপিএ-৫ প্রাপ্তদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচকের বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

মহানগর ছাত্রশিবিরের উদ্যোগে অনুষ্ঠানে ময়মনসিংহ থেকে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত প্রায় ১ হাজার শিক্ষার্থীকে সংবর্ধনা দেয়া হয়।

ময়মনসিংহ মহানগর ছাত্রশিবিরের সভাপতি শরিফুল ইসলাম খালিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি রাশেদুল ইসলাম।

এসময় বক্তব্য রাখেন মহানগর জামায়াতের আমির মাওলানা কামরুল আহসান এমরুল, জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির অধ্যক্ষ কামরুল হাসান মিলন, মহানগর ছাত্রশিবির সেক্রেটারি ডা: ফাউযান আব্দুর রহমান প্রমুখ।

নুরুল ইসলাম সাদ্দাম বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করে ফেলেছে। একটা গ্রুপের কাছে ১২টা ব্যাংক জমা করে রাখছে এবং বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার সে ব্যাংক থেকে লুটপাট করছে। টাকা ধরার জন্য এখন অস্ত্রের দরকার হয় না। টাকা ধরার জন্য মেধা দরকার হয়। কারণ মেধাবী যারা তারা একটা ব্যাংক তৈরি করে বিজ্ঞাপন দিয়ে বড় বড় সেলিব্রেটিটের অ্যাম্বাসেডর বানিয়ে টাকা রাখবে। সেই টাকা নিজের নামে নয়, পরিবারের সদস্যদের ভিন্ন অ্যাকাউন্টে রেখে সংসদে দাঁড়িয়ে নাকের পানি-চোখের পানি এক করে বলবে আমার কোনো টাকা নাই। অথচ ব্যাংক লুটপাট করে দেদারছে খালি করে ফেলছে। জনগণের টাকা দিতে পারছে না। এভাবে ব্যাংকগুলো থেকে লুটপাট করে দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দিয়েছে। এরপর দেশের ভেতর ইনভেস্ট না করে বিদেশে পাচার করেছে।’

তিনি বলেন, ‘এরা শাহবাগে একটা সিস্টেম করে ভেকম করা হয়েছে। কতো সুক্ষ্ম একটা মেকানিজম। প্রথমে রায় দিয়েছে, সে রায়ে ফাঁসি না দিয়ে শাহবাগ কায়েম করে মানুষকে বোকা বানিয়ে, সেখানে খিচুরি পাকিয়ে চারিদিকে রাস্তা-ঘাট বন্ধ করে দিয়ে মব ক্রিয়েট করে এরপর মিডিয়া ক্রাইম করে আইন বদলিয়ে সে আইনের অধিনে একাধিক নিরপরাধ মানুষকে ফাঁসি দিয়ে মানুষের কন্ঠ রোধ করেছে। যাদের বিরুদ্ধে অ্যালিগেশন আনছে তাদের গুম করছে, দেশের বাইরে পাচার করছে, লাশের কোনো হদিস নাই, এমন বহু মেকানিজম করতে হয়েছে।’

ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি জেনারেল আরো বলেন, ‘শেখ হাসিনা শিখিয়েছে কেমনে ইলেকশন মেকানিজম করতে হয়। মানুষ ভোট দিবে না কিন্তু ইলেকশন হয়ে যাবে। শেখ হাসিনা প্রথমে ২০০৮ সালে ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিং দিয়ে ক্ষমতায় আসলো, ২০১৪ সালে কেউ গেলো না, এরপর বিনা ভোটে জিতে বিদেশী উপদেষ্টা নিয়ে ক্ষমতায় টিকে থাকলো। পরে মানুষ আর বিশ্বাস করছে না কিন্তু ক্ষমতায় যেতে হবে। পরে আর একটা মেকানিজম বের করতে হবে। এটা কি শেখ হাসিনার ব্রেন? বাংলাদেশের মানুষের ব্রেন কি এমন হতে পারে? কোনোদিন না, ওরে বুদ্ধি দিসে। এবং সেই বুদ্ধিটা দিসে তারা আমি আর ডামি।’

তিনি বলেন, ‘মেধাবীরা এই দেশ পরিচালনা করবে। একটা জাতিকে পরিচালনা করতে সবচেয়ে বড় হাতিয়ার হচ্ছে মেধাবীরা। আর সে মেধাবীরা এই অডিটোরিয়ামে আছে। মেধাবীদের যদি সঠিকভাবে মূল্যায়ন করা না যায়। তাদের ভেতরে যদি মমত্ববোধ ও দেশের প্রতি আনুগত্য তৈরি করা না যায়। তাহলে এই মেধাবী দ্বারা ধ্বংসযজ্ঞ পরিচালনা হওয়া ছাড়া আর ভালো কিছু আশা করা সম্ভব নয়।’