লক্ষ্মীপুরে সংবাদ সম্মেলনে ড. রেজাউল করিম

জনস্বার্থে চৌমুহনী-লক্ষ্মীপুর-রায়পুর-চাঁদপুর রেল সংযোগ বাস্তবায়ন জরুরি

নোয়াখালীর চৌমুহনী হতে রেললাইন বর্ধিত করে লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলা হয়ে চাঁদপুর জেলার সাথে রেললাইন স্থাপনের ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী লক্ষ্মীপুর জেলা শাখা।

নয়া দিগন্ত অনলাইন

Location :

Lakshmipur
লক্ষ্মীপুরে সংবাদ সম্মেলনে ড. রেজাউল করিম
লক্ষ্মীপুরে সংবাদ সম্মেলনে ড. রেজাউল করিম |নয়া দিগন্ত

নোয়াখালী জেলার চৌমুহনী হতে বিদ্যমান রেললাইন বর্ধিত করে লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুর উপজেলা হয়ে চাঁদপুর জেলার সাথে রেললাইন স্থাপনের ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী লক্ষ্মীপুর জেলা শাখা।

আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম।

এতে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর লক্ষ্মীপুর জেলা শাখার আমির মাস্টার এম রুহুল আমিন ভূঁইয়া।

এসময় উপস্থিত ছিলেন- জামায়াত নেতা এ আর হাফিজ উল্লাহ, মাওলানা নাছির উদ্দিন মাহমুদ, অ্যাডভোকেট আবুল ফারাহ নিশান, অ্যাডভোকেট রেজাউল ইসলাম খান সুমন, মাওলানা জহিরুল ইসলামসহ সুশীল সমাজের প্রতিনিধি এবং সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ।

ড. রেজাউল করিম বলেন, ‘লক্ষ্মীপুরের পাশের জেলা নোয়াখালী এবং চাঁদপুরে রেল সংযোগ থাকলেও লক্ষ্মীপুরের ২৫ লক্ষ মানুষের জন্য কোনো রেল সংযোগ নেই।’

এ বিষয়ে তিনি কিছু ঐতিহাসিক তথ্য সাংবাদিকদের মাধ্যমে সরকারকে স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন-

১. ১৯৭৩ সালে চৌমুহনী থেকে লক্ষ্মীপুর পর্যন্ত রেললাইন স্থাপনের জন্য সর্বপ্রথম মাঠ জরিপ পরিচালিত হয়েছিল। ওই জরিপে শেষে কয়েকটি সম্ভাব্য রেলস্টেশন শনাক্ত করা হয় এবং স্টেশনের সংখ্যা নির্ধারণ করা হয়েছিল।

২. পরবর্তীতে ২০১৪ সালের ২৭ আগস্ট, লক্ষ্মীপুরবাসীর পক্ষ থেকে রেললাইন স্থাপনের জন্য একটি চাহিদাপত্র রেল মন্ত্রণালয়ে দাখিল করা হয় (ডিও নং-যোম/মামদ/২০১৪-৪৯১)। সে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তৎকালীন রেলমন্ত্রী বাংলাদেশ রেলওয়ের চট্টগ্রাম (পূর্বাঞ্চলীয়) চেয়ারম্যানকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশনা প্রদান করেন।

কিন্তু দুঃখজনকভাবে, দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও এ অঞ্চলের মানুষ আজও রেল যোগাযোগের সুবিধা থেকে বঞ্চিত রয়েছে।

পরিশেষে মাননীয় সরকার ও রেল মন্ত্রণালয়ের প্রতি জনস্বার্থ বিবেচনায় অবিলম্বে চৌমুহনী-লক্ষ্মীপুর-রায়পুর-চাঁদপুর রেল সংযোগ বাস্তবায়নের কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণের জোর দাবি জানান।