চাঁদা না দেয়ায় দাগনভূঞায় বন্ধ ৮ সড়কের কাজ

দাবিকৃত চাঁদা না দেয়ায় ফেনীর দাগনভূঞা পৌরসভার ৮টি সড়ক সংস্কার কাজ করতে পারছে না ঠিকাদার। এতে স্থানীয় জনসাধারণ চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। অন্যদিকে চাঁদাবাজদের হুমকি-ধামকির মুখে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন ঠিকাদারও।

শাহাদাত হোসাইন, ফেনী অফিস

Location :

Feni
সংগৃহীত

দাবিকৃত চাঁদা না দেয়ায় ফেনীর দাগনভূঞা পৌরসভার ৮টি সড়ক সংস্কার কাজ করতে পারছে না ঠিকাদার। এতে স্থানীয় জনসাধারণ চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। অন্যদিকে চাঁদাবাজদের হুমকি-ধামকির মুখে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন ঠিকাদারও।

ঠিকাদার মো: আবদুল কাদের জানান, ৪ কোটি ৬৬ লাখ টাকা ব্যয়ে দাগনভূঞা পৌরসভার ৮টি সড়ক সংস্কারের কাজ পান তার মালিকানাধীন মেসার্স কাদের এন্টারপ্রাইজ। দরপত্র দাখিলের পর থেকে অজ্ঞাত চাঁদাবাজ সন্ত্রাসীরা কাজে বিভিন্নভাবে হুমকি দিতে থাকে। দরপত্র প্রত্যাহার না করলে প্রাণে মেরে ফেলাও হুমকি দেয় চক্রটি। এরপর সর্বনিম্ন দরদাতা হিসেবে তিনি কার্যাদেশ পাওয়ায় গত ২২ জুলাই ১৫-২০ জন চাঁদাবাজ দাগনভূঁঞা বাজারে তাকে খোঁজ করে।

তিনি আরো জানান, এদিন দুপুর ১২টার দিকে ফাজিলের ঘাট রোডে ফাইন ওভারসীজে গেলে সেখানেও খোঁজ করে তারা। একপর্যায়ে টেন্ডার খোলার পাঁচ দিন পর বিকেল ৫টার দিকে ০১৬১৯৫৩৩৩৩২ এবং প্রায় আড়াই মাস আগে রাত ৮টার দিকে ০১৭৯৭৩৩৯৮০১ নম্বর থেকে কল করে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করা হয়।

তবে হুমকিদাতাদের নাম পরিচয় জানলেও প্রাণের ভয়ে নাম প্রকাশ করতে রাজী হননি উপজেলা বিএনপির সাবেক এ নেতা।

রামনগর ইউনিয়নের বাসিন্দা আবদুল কাদের বলেন, ‘তাকে না পেয়ে অকথ্য ভাষায় গালাগালি ও মেরে ফেলার হুমকি দেয় তারা। একইসাথে বিভিন্ন অফিসে তাকে জায়গা না দেয়ার জন্য হুমকি দেয়।

একই দিন দুপুর ১টার দিকে ফেনী রোডে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানে গিয়েও খুঁজে না পেয়ে গালাগালি করা হয়। ওই সময় তারা বিএনপি নেতা কামরুল উদ্দিন ও আবদুল কাদের বাবুকেও গালমন্দ করে।

পৌরসভা সূত্র জানায়, গত ২৩ জুলাই দাগনভূঞা পৌরসভার পৌর প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা স ম আজহারুল হক দাগনভূঞা বাজারের পুরনো থানা রোড ও হাজী ক্লিনিক থেকে সওদাগর বাড়ি সড়ক সংস্কার কাজ উদ্বোধন করেন। দরপত্র অনুযায়ী কাজ শুরু করার সময় রাস্তার পাশে সাইনবোর্ড লাগালে রাতে অজ্ঞাত চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসীরা সাইনবোর্ড তুলে ফেলে দেয় ও স্টিকার ছিঁড়ে ফেলে। পরে তার লোকজন আবারো ঢালাই করে সাইনবোর্ড প্রতিস্থাপন করলে গত ২৭ জুলাই রাতে আবারো অজ্ঞাত সন্ত্রাসীরা চাঁদার দাবিতে সাইনবোর্ড কেটে নিয়ে যায়।

আবদুল কাদের জানান, হুমকিদাতাদের ভয়ে তিনি পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। এ ঘটনায় দাগনভূঞা থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন।

জানতে চাইলে দাগনভূঞা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওয়াহিদ পারভেজ গণমাধ্যমকে জানান, ‘ঠিকাদার কাজ করতে চাইলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাকে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা দেবেন।’